রাজশাহীতে ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান


নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব শিরোনামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাতক হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ্ আজম শান্তনু, রাজশাহী ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।

ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব
অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগ আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল। ভারত যেভাবে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিল তা অবিস্মরণীয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অর্থনৈতিক টানাপোড়ন সত্ত্বেও তারা আমাদের লাখ লাখ বাঙালি শরণার্থীদের মাসের পর মাস ধরে অন্ন ,বস্ত্র ও বাসস্থান ব্যবস্থা করে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা তা গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ভারত বাংলাদেশ দুদেশের কাছে সমান গৌরবের। মহান মুক্তযুদ্ধে বিজয় অত্যাচারের উপর মানবতার বিজয়, আগ্রাসনের উপর ন্যায্যতার বিজয়, দমন ও নিপীড়নকারী সেনার উপরে নির্ভীক বাঙালির বিজয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী বীর বাঙালির সাথে এ বিজয়ের অংশীদার হাওয়ায় আমরা সমানভাবে গর্বিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে দুই দেশের অগ্রগতি ক্রমেই বিকাশমান। ভারত-বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে দুই দেশের নেতাদের রয়েছে দৃঢ় অঙ্গীকার।

মনোজ কুমার আরও বলেন, মহামারি, সন্ত্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে একত্রে কাজ করেছে। জাতীয় উন্নয়নের মাধ্যমে আমরাদের দুই দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও জনগণের মধ্যে সুদৃঢ় যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে।

এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বীর শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি, সার্বভৌমত্ব অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৫২ বছর পূর্বে তাদের অকুতোভয় আত্মত্যাগ চির-অমর হয়ে থাকবে।

মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন ধ্রুপাদআলোক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা। এছাড়াও ডক্টর আরিফ হায়দারের সম্পাদনা ও নির্দেশনায় আমি বীরাঙ্গনা বলছি নাটিকাটি মঞ্চস্থ হয়।

 

আরও পড়তে পারেন কলকাতায় সাড়ম্বরে উদ্‌যাপিত বাংলাদেশের বিজয় দিবস


শর্টলিংকঃ