ভাষাকে খারাপের দিকে নিচ্ছে কোকের বোতলে বিকৃত শব্দ


ইউএনভি ডেস্ক:
কোমল পানীয় কোকাকোলার (কোক) বোতলে ব্যবহৃত শব্দগুলো বাংলা ভাষাকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানিকালে সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত রিটের ওপর মঙ্গলবার (আজ) আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রানা। কোকাকোলার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।শুনানিকালে আদালত কোকাকোলার পক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কোকাকোলার বোতলের শব্দগুলো বাংলা ভাষাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে।

এগুলোকে (কোকের বোতলের বিকৃত শব্দগুলো) বাংলা ভাষার শব্দ হিসেবে এভাবে ব্যবহার বা প্রচার করা যায় না। এসব শব্দের ব্যবহার বাংলা ভাষাকে আরও খারাপ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।’পরে রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রানা বলেন, ‘আদালত আমাদের রিটের শুনানি শেষ করেছেন। মঙ্গলবার এ রিটের ওপর আদালত আদেশ দেবেন। তবে এর আগে আমাদের রিট আবেদনটির কিছু অংশ সংশোধন করে আনার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোকাকোলার বোতলে বাংলা ভাষার বিকৃত ব্যবহার বন্ধ, বাজারে থাকা কোকের বোতল প্রত্যাহার এবং এ নিয়ে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বেভারেজ কোম্পানি কোকাকোলাকে বিবাদী করা হয়।

 

একইসঙ্গে রিটে কোকের বোতলে বিকৃত বাংলা ভাষার প্রচার বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে


শর্টলিংকঃ