ভুল শিশুর জন্ম: যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দম্পতির মামলা


সারাদুনিয়া ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশু জন্ম দেয়ার পর এক দম্পতি দাবি করেছে, ক্লিনিকের চিকিৎসকদের কারণে ভুল শিশুর জন্ম হয়েছে।এশিয়ার ওই দম্পতি অনেক দিন ধরেই সন্তান লাভ করার চেষ্টা করছিলেন। খবর বিবিসির।

শেষ পর্যন্ত তারা আইভিএফ (বাবা-মায়ের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ল্যাবে নিষিক্ত করে ইনজেকশনের মাধ্যমে আবার মায়ের গর্ভে স্থাপন করা) পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন। পরে মায়ের গর্ভে শিশুটি বেড়ে ওঠে। ক্ষুব্ধ ওই দম্পতি নিউইয়র্ক স্টেটের একটি আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, যে যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে, তারা তাদের সন্তান নয়।

ওই দম্পতি এশীয় বংশোদ্ভূত হলেও জন্ম নেয়া শিশুরা এশীয় নয়। এমনকি তাদের একে অপরের সঙ্গেও সম্পর্ক নেই। মামলায় বলা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেছে ওই শিশুরা তাদের রক্ত সম্পর্কের নয়, ফলে তারা শিশুদের ওপর থেকে দাবিও তুলে নিয়েছেন। তবে এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সিএইচএ ফার্টিলিটি নামের ওই ক্লিনিক।

মামলায় ওই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা কয়েক বছর ধরে পিতামাতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ভ্রুণ, পরীক্ষা, ওষুধ ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ডলার (প্রায় ৮৫ লাখ টাকা) খরচ করে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতি গ্রহণ করেন।

কিন্তু সন্তানের জন্মের পর এই দম্পতি খুব হতাশ হন, যখন তারা দেখতে পান যে, তাদের ভ্রুণ থেকে সন্তানের জন্ম হলে তাদের যে রকম চেহারা হওয়ার কথা, শিশুদের চেহারা তা নয়। এই শিশুরা শুধু যে বাবা-মায়ের জিন পায়নি তা নয়, তাদের একে অপরের মধ্যেও জিনগত কোনো সম্পর্ক নেই বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ