ভূখণ্ড ব্যবহারের সহযোগিতার প্রতিদান প্রতিবেশীরা দেবে


ইউএনভি ডেস্ক:

বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের ভূখণ্ড ব্যবহারে যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তার প্রতিদান প্রতিবেশী দেশগুলো দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ভারতের আগরতলায় ‘তৃতীয় ভারত-জাপান ইন্টেলেকচুয়াল কনক্লেভ’-এ দেওয়া বক্তব্যে এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।


শাহরিয়ার আলম বলেন, এ অঞ্চলের সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে উজ্জ্বল সম্ভাবনার বিষয়ে দূরদর্শী হতে হবে। জনগণের বৃহত্তর সুবিধাগুলোকে রাজনৈতিক বিবেচনার কাছে জিম্মি হতে দেওয়া উচিত হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিকের চিন্তা করে। যা বৈশ্বিক রাজনীতির একটি মূল ক্ষেত্র এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধির মূল নির্ধারক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ এশিয়াসহ বৃহত্তর বঙ্গোপসাগর সম্প্রদায়ের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। তিনি আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য সম্পর্ক আরও গভীর করার ওপর জোর দেন।

উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের ভারতের সংযোগ এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ এ অঞ্চলের সমৃদ্ধিতে কিভাবে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনবে তা বক্তব্যে তুলে ধরেন শাহরিয়ার আলম।

আসাম ভিত্তিক প্রভাবশালী থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আগরতলায় বাংলাদেশ মিশন এবং জাপান দূতাবাস যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের, বিশেষ করে ত্রিপুরার জনগণ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ নিজেকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছে। পরিবহন সংযোগের জন্য বিমসটেক মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন এ অঞ্চলে আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।

শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট গ্রহণের জন্য জাপানের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন।


শর্টলিংকঃ