মাইক্রো থেকে লাফ দিয়ে মুক্ত হলো অপহৃত স্কুলছাত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে স্কুল যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের পর রাতে মাইক্রোবাসটি রাজশাহী পৌঁছে। রাতে শহরের প্রবেশমুখ তালাইমারী এলাকায় হালকা যানজট সৃষ্টি হলে ওই মাইক্রোবাসের গতি মন্থর হয়। এ সময় তিন স্কুলছাত্রীর মধ্যে জ্ঞান ফিরে পাওয়া এক ছাত্রী ওই মাইক্রোবাস থেকে লাফ দেয়।

এরপর সে একটি ফার্মেসির দোকানে দাঁড়িয়ে ঘটনা খুলে বলে। এ সময় মতিহার থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর গোটা শহরে মাইক্রোবাসটির খোঁজে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহজনক যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

রাজশাহীতে উদ্ধার হওয়া মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। সে গাজীপুরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি শ্রীপুরের শান্তিনগর এলাকায়।তার সঙ্গে অপহরণ হওয়া ওপর দুই শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তারাও বর্ষার সঙ্গেই পড়ে।

পুলিশকে দেওয়া ওই ছাত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, সকাল নয়টার দিকে তারা বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল। পথে একটি মাইক্রোবাস তাদের গাতিরোধ করে।

এ সময় তিনজনকে সাদা রঙের একটি হায়েস্ট মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তার আর জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফেরার পরে গাড়িটি এক জায়গায় দাঁড়ালে সে দরজা খুলে লাফ দিয়ে নেমে দৌড় দেয়। পরে সে জানতে পারে সে রাজশাহীতে। লাফ দেওয়ার সময় তার দুই সহপাঠী অচেতন অবস্থায় ছিল। তারাও স্কুল ড্রেস পড়ে আছে জানিয়েছে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া ওই ছাত্রী।রাতে মতিহার থানার পুলিশ ওই ছাত্রীকে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছে। তারা এরই মধ্যে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস ইউনিভার্সাল২৪নিউজ-কে জানান, ওই সাদা হায়েস্ট মাইক্রোবাসটির সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। রাজশাহীর প্রতিটি চেকপোস্টে সাদা রঙের মাইক্রোবাসকে থামাতে বলা হয়েছে।

আশপাশের জেলাতেও বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। আর ঘটনাটি সম্পর্কে গাজীপুর পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তিনিও সেখানে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তবে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত তারা মাইক্রোবাসের সন্ধান পাননি। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রী তাদের হেফাজতে নিরাপদে রয়েছে। অভিভাবকরা রাজশাহীতে পৌঁছালে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এছাড়া অন্যদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলেও জানান মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস।

এদিকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানিয়েছেন, মিতু আক্তার বর্ষা যে দুজন মেয়ের নাম বলেছে তাদের নামে ওই স্কুলের ক্লাস সেভেনের কোন ছাত্রী নেই । প্রতিদিন বর্ষা বই নিয়ে স্কুলে যেত । কিন্তু আজকে সকালে বাসা থেকে সে বই ছাড়াই বাসা থেকে বের হয়। তবে এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে


শর্টলিংকঃ