মোদি-মমতার বাকযুদ্ধ


সারাদুনিয়া ডেস্ক :

আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তুমুল বাকযুদ্ধে জড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত উল্লেখ করে মমতা বলেন, উত্তর প্রদেশে ১৭টি সিটও পাবেন না নরেন্দ্র মোদি। তবে নরেন্দ্র মোদির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন এমপি তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন।

নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দোপাধ্যায়
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দোপাধ্যায়

সোমবার (২৯ এপ্রিল) তৃণমূল নিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভয়ানক দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদি।

সোমবার পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় এক নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দিয়ে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন তৃণমূল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ছোঁড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন সাংসদ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলেই ওই ৪০ জন এমপি দল পাল্টাবেন বলেও দাবি করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন মোদি। মমতার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, কয়েকটি আসনে লড়াই করেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না।

একই রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের আলাদা জনসভায় নরেন্দ্র মোদিকে পাল্টা এক হাত নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদি ও ক্ষমতাসীন বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সমাবেশ চলাকালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মমতা দাবি করেন, এবারের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের ৮০ আসনের ১৭টি আসনও পাবে না নরেন্দ্র মোদির দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দশের মধ্যে এক পাওয়ারও যোগ্য নন বলে মন্তব্য করেন মমতা। নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনারও অভিযোগ করেন তিনি।

একইদিন রাজস্থানের চুরু জেলাতে নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ক্ষমতাসীন বিজেপি ও মোদির বিরুদ্ধে কৃষকদের দমন পীড়নের অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঋণ শোধ করতে না পারার অপরাধে কৃষকদের জেলে পুরতে হলে জনগণের ৩৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

লোকসভা নির্বাচনের সাত দফা ভোট যত এগোচ্ছে তত রাজনৈতিক দলগুলোর বাকযুদ্ধ প্রকট হচ্ছে। বিরোধী দলের প্রতি কথার তীরের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গীকার নিয়ে ভোটারদের নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক নেতারা। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা দেখার জন্য ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।


শর্টলিংকঃ