‘রাজনীতি করতে হলে জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে’


ইউএনভি ডেস্ক:

সংসদে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দেয়া আলটিমেটাম ইস্যুতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি করতে হলে জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে। অবস্থান পরিষ্কার থাকতে হবে। বিএনপিকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তবে জোটের দুই শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার অনুপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখানে মান অভিমান নয়। এখানে জনআস্থার বিষয়টি জড়িত। একেক সময় একেক কথা আর একেক রকম সিদ্ধান্ত নিলে মানুষের কাছে মুখ দেখানো যায় না’।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার কথা লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করা যায় না। এই রাজনীতি আমি করিও না। আমি সোজাসাপ্টা মানুষ। আমি কম বুঝি। আপনাদের মতো আমার এত বুদ্ধিও নাই’।

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে। অবস্থান পরিষ্কার থাকতে হবে। বিএনপিকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে’।

কাদের সিদ্দিকীর এই বক্তব্যের পর আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা আবার বসব। প্রয়োজনে ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতেই এ নিয়ে আরও আলোচনা করব। কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার, দেশের মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা আমাদের রাজনীতি ঠিক করে এগুতে পারলে, ঠিকমতো মাঠে নামতে পারলে- সরকার বাধ্য হবে পিছু’ হটতে’।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে নিজেদের এমপিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথমে গণফোরামের দুজন এমপি শপথ নেন। তখন এ দুইজনের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপি নেতারা।

পরে শপথ নেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বিএনপি থেকে নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য শপথ নেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জানিয়ে দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সাতজনের শপথ গ্রহণের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে ৮ জুন ফ্রন্ট ছেড়ে দেবে তার দল।

সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী এক মাসের মধ্যে যে যে অসঙ্গতি আছে, তা সঠিকভাবে নিরসন না হলে ৮ জুন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দীন আল মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়্যিদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহেদ উর রহমান, মমিনুল ইসলাম, বিকল্প ধারার একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমীন বেপারী, মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল প্রমুখ।


শর্টলিংকঃ