রাজশাহীতে গাড়িতে চাঁদাবাজির সময় গ্রেফতার ৭


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে সড়কে যানবাহনে চাঁদাবাজির সময় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজশাহীর পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসব চাঁদাবাজ রাজশাহীর বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চলমান যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিল। রাজশাহী বাইপাস সড়কসংলগ্ন ট্রাক টার্মিনাল থেকে চারজন ও নগরীর উপকণ্ঠ কাটখালীতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক থেকে আরও তিন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।সোমবার সকালে র‌্যাব ৫-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা আখতারুজ্জামান হেলেন (৪৯), আবদুর রাজ্জাক (৪৭), আব্দুল কুদ্দুশ (৫৫) ও মো. মিন্টু (৩৬)। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আখতারুজ্জামান হেলেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার হাড়–পুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে। রাজ্জাকের বাড়ি মতিহার থানার খোজাপুর গ্রামে, আব্দুল কুদ্দুশ নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে ও মিন্টু বায়া ভোলাবাড়ি এলাকার ছলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে। এসব চাঁদাবাজ সোনামসজিদ স্থলবন্দর তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া চাল-ডাল-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করে আসছিল।

অন্যদিকে রোববার রাতে নগরীর কাটাখালী এলাকায় মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদা তোলার সময় আশরাফুল ইসলাম (৩২), মানিক আলী (৩৮) ও দুরুল হোদাকে (৩৮) হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মূলহোতা আশরাফুল ইসলাম বেলপুকুর এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে। অন্যদের মধ্যে মানিক নামাজগ্রাম এলাকার জাফফার মণ্ডল ও দুরুল হোদা এমাজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।

অভিযানকালে যানবাহন থেকে কয়েকটি লাঠি, চাঁদা তোলার রশিদ, ভাউচার, টোকেন ও চাঁদার ৬ হাজার ৮০০ টাকা জব্দ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, এসব সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ লাঠি সোটা নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লেগুনা, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদা না পেলে তারা গাড়ি ভাঙচুর করছিল। চালকদের আটকে রেখে মারধরও করে আসছিল তারা।


শর্টলিংকঃ