নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত সাত জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার হাসান হকারের ছেলে সেতু ইসলাম, বাবু কসাইয়ের ছেলে বাবলা ও বাবলু ড্রইভারের ছেলে সোহাগ। এর মধ্যে সেতু পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বাদী পক্ষের দাবি প্রধান তিন আসামিসহ ১২ জনের নামে মামলা করা হলেও তিন জনের সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা রায়ে বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
নিহত রবিউল ইসলাম নগরীর মেহেরচন্ডি পূর্ব পাড়ার নসু মিয়ার ছেলে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় রবিউলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এতে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগ নেতা রবিউলের মৃত্যু হয়। পরদিন ১৫ এপ্রিল রবিউলের বড় ভাই শফিউল ইসলাম নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাফিজ উদ্দিন। পরে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় ওমর শরীফকে। তিনি এক বছরের মাথায় ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তাতে বাদী পক্ষ নারাজি দিয়ে ফের তদন্তের আবেদন করে। ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়।
পরে নিত্যপদ দাস, আশিকুজ্জামান ও রেজাউস সাদিক মামলাটি তদন্ত করেন। সবশেষ মামলার তদন্তে দায়িত্ব পান রাশেদুল ইসলাম। তিনি ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।