রাজিতের সঙ্গে গাইলেন সাবিনা


সদ্য প্রয়াত প্রখ্যাত সংগীত গবেষক মোবারক হোসেন খান ও সংগীতিশিল্পী ফৌজিয়া ইয়াসমীন খান দম্পতির ছেলে তানিম হায়াত খান রাজিত। ফৌজিয়া ইয়াসমীন হলেন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের বড় বোন। অর্থাৎ রাজিত হলেন সাবিনা ইয়াসমীনের ভাগ্নে।

সম্প্রতি ভাগ্নে রাজিতের সঙ্গে ‘জ্যোৎস্না ঢলে’ শিরোনামের একটি দ্বৈতগানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন। খালার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি সুরও করেছেন রাজিত।

সামরিন শিরিন’র কথায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন এজাজ ফারাহ। মিক্স-মাস্টারে পুলক বড়ুয়া। গানটির রেকর্ডিং এবং স্টুডিও ভার্সন ভিডিও হয়েছে পুলক বড়ুয়ার বাংলামটরের স্টুডিওতেই।

একই ফ্রেমে সাবিনা ইয়াসমীন, রাজিত ও এজাজ ফারাহএই গান প্রসঙ্গে রাজিত বলেন, ‘সুর করার পর মনে হলো খালার সঙ্গে গানটি করলে ভালোই হবে। হয়েছেও তাই। আমি চাই শ্রোতারা যেনো গানটি শোনে। ভালো-মন্দ তারাই বিচার করুক।’

নতুন বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে এভিস্পেসবিডি’র ইউটিউব চ্যানেলে স্টুডিও ভার্সন ভিডিওতে ‘জ্যোৎস্না ঢলে’ প্রকাশ পাবে বলে রাজিত জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে গত ২৩ নভেম্বর রাতে নিজ বাসভবনে ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজিতের বাবা মোবারক হোসেন খান।

১৯৩৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোবারক হোসেন খান। তার বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। তার চাচা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মোবারক হোসেন খান সবার ছোট। তার বড় তিন বোন- আম্বিয়া, কোহিনূর ও রাজিয়া এবং বড় দুই ভাই প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ আবেদ হোসেন খান ও বাহাদুর হোসেন খান।

মোবারক হোসেন খান দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের ১৯৮৬ সালে একুশে পদক, ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার এবং ২০০২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্ব।


শর্টলিংকঃ