রাবিতে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ


রাবি প্রতিনিধি :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন, প্রভাত ফেরি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাবি উপাচার্যসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

বৃহস্পতিবার দিবসের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপাচার্যের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনগুলো পুষ্পস্তবক অর্পন করে। সকালে বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগ, পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান, রাবি শিক্ষক সমিতি, মহিলা ক্লাব, রাবি স্কুল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুল, রাবি ছাত্রদলসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো প্রভাতফেরীসহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাংকন ও বাংলা হস্তলিপি প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, এতে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে রাবি প্রশাসন

অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পশ্চিম চত্বরে রাবি অফিসার সমিতির আলোচনাসভা। এছাড়াও নিজ নিজ কার্যালয়ে সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়নের এবং কেন্দ্রীয় কাফেটেরিয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাবি ইউনিট কমান্ডের আলোচনা সভা।

বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও মোনাজাত এবং সন্ধ্যায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দিবসটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।


শর্টলিংকঃ