ইউএনভি ডেস্ক:
শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমিনবাজারে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরি হলে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকবে না।
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন আমিনবাজার ল্যান্ডফিল ও গাবতলীতে অবস্থিত ডিএনসিসির যান্ত্রিক ওয়ার্কশপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামও সঙ্গে ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপিত হলে সেখানে প্রতিদিন ৩ হাজার টন ময়লা-আবর্জনা প্রয়োজন হবে। এতো পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে দিলে ঢাকা শহরের যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ আর থাকবে না। বিদেশি একটি কোম্পানির সঙ্গে এ জন্য চুক্তি করা হবে। চুক্তির ১৮ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যদিও তারা কিছুটা সময় বেশি চাইছে। চূড়ান্ত চুক্তির সময় বিষয়টি ফয়সালা হবে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির যান্ত্রিক ওয়ার্কশপে আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে। পাশাপাশি গাবতলী এলাকায় যেসব জমি অবৈধ দখলে আছে, সেগুলো দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গাবতলীতে ডিএনসিসির ওয়ার্কশপ সংলগ্ন কাঁচাবাজারটি একটি পাইকারি কাঁচাবাজারে পরিণত ও কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারটি যাত্রাবাড়িতে স্থানান্তরের কথা ছিল। কাজটি বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।
মেয়র আরো বলেন, কোরবানির ঈদে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি অনুশাসন দিয়েছেন। গাবতলী পশুর হাটের পাশে একটি আধুনিক জবাইখানা করার কথা বলেছেন। এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
