শৈশবের বাড়ি কিনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপহার প্রদানের উদ্যোগ


ইউএনভি ডেস্ক:

২০১৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শৈশবের বাড়িটি বিক্রি হয়েছে দুবার। তবে নিউইয়র্কের এ বাড়ির বিক্রিবাট্টা যেন শেষই হচ্ছে না। আরো একবার বিক্রির জন্য মার্কেটে তোলা হলো বাড়িটিকে। এবার অবশ্য আবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অভিনব এক উদ্যোগ।

অবশ্য উদ্যোগ না বলে আবদার বলাই মনে হয় সমীচীন। ভক্তদের কাছে তারা আহ্বান জানিয়েছে, বাড়িটি কিনে সাবেক হওয়ার পথে থাকা প্রেসিডেন্টকে এটি যেন উপহার হিসেবে দেয়া হয়। বাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ডলার, যা প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। খবর এএফপি।

প্যারামাউন্ট রিয়েলিটি নামের সংস্থা মঙ্গলবার ক্রাউডফান্ডিং (গণ অর্থায়ন) সাইট গোফান্ডমিতে অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যেখানে ট্রাম্প ভক্তদের কাছে আহ্বান করা হয়েছে ৩০ লাখ ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অবদান রাখার জন্য।

 

যদি পর্যাপ্ত অর্থ উঠে আসে, তবে তা দিয়ে বাড়িটি কিনে সেটি ট্রাম্পকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। সংস্থাটি সম্প্রতি ক্ল্যাসিক নিলামে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এস্টেটসে অবস্থিত বাড়িটি বিক্রির জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই চেষ্টায় সফলতা লাভ করতে পারেনি তারা।

সে যাত্রায় ব্যর্থ হলেও হার মানেনি এজেন্সি। এবার এসেছে গণ অর্থায়নের কৌশল সঙ্গে নিয়ে, যা আগে কখনো করা হয়নি বলে জানান রিয়েল এস্টেট এজেন্ট মিশা হাগাহনি। তিনি বলেন, এটা অনেকটা এ রকম যে একজন ধনী ক্রেতা ৩০ লাখ ডলার দেয়ার পরিবর্তে ট্রাম্পকে পছন্দ করে এমন এক মিলিয়ন মানুষ সবাই ৩ ডলার করে দেবে।

বাড়িটিতে চার বছর বয়স পর্যন্ত বসবাস করেছিলেন ট্রাম্প। এরপর কাছাকাছি আরো সমৃদ্ধ একটি বাসায় স্থানান্তরিত হয় তার পরিবার। আবাসন মানদণ্ডের বিবেচনায় বাড়িটির মূল্য ১০ লাখ ডলারের বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু হাগহানির মতে, বাড়িটির একটি ‘অধরা’ মূল্য রয়েছে, যা একে আরো স্বতন্ত্র করে তুলেছে। সে কারণেই ইট-পাথরের তৈরি বাড়ির মূল্যের চেয়ে এটির দাম বেশি।

 

অবশ্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অধিক দামে এর আগেও বাড়িটি বিক্রি হয়েছিল। ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ওঠার পর ২০১৭ সালের মার্চে বাড়িটি বিক্রি হয় ২০ লাখ ১৪ হাজার ডলারে। কিন্তু আবাসান শিল্পের সাবেক এই মুঘল এখন হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পথে রয়েছেন। হাগহানির মতে, তাকে বাড়িটি কিনে দেয়া মূলত একটি ধন্যবাদ জানানোর সুলভ কাজ কিংবা যারা তাকে ভালোবাসেন, তাদের পক্ষ থেকে একটি বিদায়ী স্মারক। তবে ট্রাম্প না রাখলে বাড়িটি তার নির্বাচিত কোনো দাতব্য সংস্থাকে দেয়া হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় নিজের আবাস পরিবর্তন করেন ট্রাম্প। নিউইয়র্কে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা মোটেই ভালো নয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখানে ৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। এদিকে গোফান্ডমি পেজে বলা হয়েছে, ৩০ লাখ ডলারের ওপরে যত অর্থ আসবে, তার অর্ধেক দাতব্য সংস্থার কাছে চলে যাবে। পাশাপাশি ৩০ লাখ ডলারের লক্ষ্য অর্জিত না হলেও উত্থিত অর্থ চলে যাবে দাতব্য সংস্থায়। যদিও অলাভজনক কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে এই অর্থ যাবে তা নিশ্চিত করা হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্প ভক্তরা এই উদ্যোগে সাড়া দেবেন তো?


শর্টলিংকঃ