সকালের নাস্তায় প্রয়োজন প্রোটিন জাতীয় খাবার


জীবনযাপন ডেস্ক :

সকালের নাস্তায় কী খাওয়া উচিত? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই আসতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে সকালের নাস্তা অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়া উচিৎ। এর পেছনে রয়েছে ৩টি কারণ:

১. সারাদিন দেহে এনার্জি ধরে রাখে: সকালের নাস্তা পুরো দিনের এনার্জি ধরে রাখে দেহে। যদি আপনি সকালের নাস্তা না খান তবে দুপুরের আগে আগেই আপনার দেহে এনার্জির ঘাটতি হবে এবং আপনি কোনো কাজেই উৎসাহ খুঁজে পাবেন না।

শরীর দুর্বল লাগবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার দেহে অনেকক্ষণ পর্যন্ত এনার্জি ধরে রাখতে সক্ষম। সকালে মাত্র ১টি ডিম অনেকটা সময় আপনার দেহে এনার্জি সরবরাহ করতে থাকবে। দুধ, বাদাম, মাছ, মাংস ইত্যাদিতেও রয়েছে প্রোটিন।

২. ওজন কমাতে সাহায্য করে: সকালে না খেলেই মুটিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। সকালে না খেলে দুপুরে অনেক বেশি মাত্রায় খাওয়া হয়ে যায়। আর একবারে বেশি খেলে হজম হতে দেরি হয়।

এতে করে দেহে দ্রুত মেদ জমে। কালের নাস্তায় প্রোটিনের মাত্রা বেশি রাখলে বরং তা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। প্রোটিন অনেকটা সময় ধরে ক্ষুধা নিবারন করে। আপনি যখন ক্ষুধার্ত কম হবেন তখন আপনি সাধারণভাবেই কম খাবেন।

৩. দেহকে রাখে সুস্থ ও সবল: প্রোটিন আমাদের দেহের কোষের সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সারারাত খালি পেটে থাকার পর সকালে এমনিতেই আমাদের দুর্বল লাগে এবং দেহ নিস্তেজ হয়ে আসে।

তাই সকালের শুরুটা সুস্থভাবে এবং সতেজতার সাথে শুরু করতে চাইলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো। এছাড়াও প্রোটিন সুস্থ স্বাভাবিক ত্বক, নখ, মাংসপেশি, কার্টিলেজ, হরমোন, এনজাইম এবং রক্ত গঠনে বেশ বড় ভূমিকা রাখে।

আসুন জেনে নিই সকালের নাস্তার সঠিক নিয়মটি যা আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণ করবে পাশাপাশি শরীরকে অসুস্থ না করে ফিট রাখতে সহায়তা করবে।

১. কমপক্ষে ৮ গ্রাম ফাইবার সকালের নাস্তায় রাখুন: সকালের নাস্তায় কমপক্ষে ৮ গ্রাম ফাইবার রাখার চেষ্টা করুন। সকালবেলা কখনই এমন ধরনের খাবার খাবেন না যেগুলো পেটে গ্যাস তৈরি করে।

বরং পুষ্টিকর কিছু খাবার খান যা আস্তে আস্তে হজম হয় এবং সারাদিন আপনাকে কর্মক্ষম রাখে।

২. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকালের নাস্তা সেরে ফেলুন: অনেকেই সকালের নাস্তাটি একটু দেরি করে খেয়ে থাকেন। কেননা ঘুম থেকে উঠেই খাওয়ার অভ্যাসটি তাদের থাকে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালের নাস্তাটি শরীরের বিপাকীয় কার্যে সহায়তা করে থাকে।

তাই আপনি যদি ঘুম থেকে ওঠার ১ ঘন্টার মধ্যে আপনার সকালের নাস্তাটি সেরে ফেলেন তবে তা আপনার হজম ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. কম সুগার এবং বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খান: অতিরিক্ত সুগার সকালের খাবারের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে সহায়ক। তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার সকালের নাস্তাটি যেন কম সুগারসম্পন্ন হয়ে থাকে।

এছাড়া সকালে ক্যালরিসম্পন্ন খাবারের পরিবর্তে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, রুটি খান যা আপনার দেহের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহায়তা করে থাকবে।

৪. পরিমাণ নির্দিষ্ট করুন: অনেকে ভেবে থাকেন যে খাবারের পরিমাণ বেশি হলেই ওজন বেড়ে যায়। এটা একেবারেই সঠিক ধারণা না। আপনি যদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অনেক বেশি পরিমাণেও খান তবু আপনার ওজন স্বাভাবিক থাকবে।

ক্যালরিযুক্ত খাবার অল্প খেলেই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে শরীরের প্রয়োজনে কমপক্ষে ৩৫০ ক্যালরি গ্রহণ করা উচিৎ।

৫. নিয়ম করে সকালের নাস্তা করুন: ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা না করা কোনোভাবেই ভালো সিদ্ধান্ত না। এতে শরীর আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।

তাই নিয়ম করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়া শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখে পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে। উৎস: সময় টিভি


শর্টলিংকঃ