স্যাটেলাইট লাইসেন্সিং নীতিমালা করছে বিটিআরসি


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :

স্যাটেলাইটের লাইসেন্স এবং সেবা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিক করতে নীতিমালা করছে বিটিআরসি। ইতোমধ্যে নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যেখানে লাইসেন্সের মেয়াদ রাখা হয়েছে ১৫ বছর। আর লাইসেন্স ফি পাঁচ কোটি টাকা। সঙ্গে বার্ষিক লাইসেন্স নবায়ন ফি এক কোটি টাকা।

লাইসেন্স নেওয়া কোম্পানিকে যেমন তাদের আয় থেকে রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের অংশ হিসেবে বিটিআরসিকে টাকা দিতে হবে একই সঙ্গে তাদেরকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের মতো করে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকেও বিটিআরসিকে টাকা দিতে হবে।

তবে এতে তারা বেশ কিছুদিনের ছাড় পাবেন।

খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্যে প্রথম দুই বছরের ছাড় দেওয়া হলেও তৃতীয় থেকে পঞ্চম বছর পর্যন্ত তাদেরকে এক শতাংশ হারে রেভিনিউ শেয়ার করতে হবে।

আর পরের দশ বছর লাইসেন্স নেওয়া কোম্পানির রেভিনিউ শেয়ার হবে দুই শতাংশ।

অন্যদিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের ক্ষেত্রে প্রথম দুই বছর কিছুই দিতে হবে না। তবে পরের বছরগুলোতে মোট আয়ের ওপর থেকে এক শতাংশ করে দিতে হবে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডকে একটি স্যাটেলাইট লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এখন সেটিকে নিয়মের মধ্যে আনতেই লাইসেন্সিং নীতিমালা করার উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বলা হচ্ছে, বিসিএসসিএলকে যেমন আইনগতভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগিতা করা তেমনি এর পরে কখনও অন্য কোনো কোম্পানি যখন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ব্যবসায় আসলে তাদেরকেও যাতে নীতিমালার মাধ্যমে একটি নিয়মের মধ্যে রাখা যায়। 

তবে বিদেশী স্যাটেলাইটের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কোনো কোম্পানি যদি কাজ করে তাহলে তাদেরকে এই নীতিমালার আওতায় লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

খসড়া অনুসারে লাইসেন্স নেওয়া কোম্পানি সরকার অনুমোদিত স্যাটেলাইট কোম্পানি, ডিটিএইচ কোম্পানি, আইএসপি, ভিস্যাট হাব ছাড়া অন্য কাউকে সেবা দিতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কিছুদিন আগে বিটিআরসির এক কমিশন বৈঠকে নীতিমালার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাজ শুরু হয়। যেটি আবার কমিশন বৈঠকে পাস করার পর সরকারের অনুমোদনের জন্যে পাঠানো হবে।

বিটিআরসি বলছে, আইন অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো টেলিকম সেবা চলতে পারে না। ব্যবসাটিকে আইনানুগ করতেই তাদের এই উদ্যোগ।


শর্টলিংকঃ