কানের মঞ্চে ইরানের ‘দণ্ডপ্রাপ্ত’ সেই নির্মাতা


অবশেষে ইরান থেকে গোপনে চলে এসে কানের লালগালিচায় পা রাখলেন নির্মাতা মোহাম্মদ রসৌলফ। কান চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ‘দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নেন তিনি। খবর ভ্যারাইটির।

এর আগে সিনেমাটি এই উৎসব থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মোহাম্মদ রসৌলফের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিল ইরান সরকার। তোয়াক্কা না করায় নির্মাতাকে ৮ বছরের কারাদণ্ড, চাবুক মারা, জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কারাদণ্ড থেকে বাঁচতে অবৈধ পথে ইরান থেকে পালিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নেন নির্মাতা মোহাম্মদ রসৌলফ।

কানের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে টানা ১২ মিনিট করতালির (স্ট্যান্ডিং ওভেশন) রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। এবার উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে পাম দ’রের জন্য লড়ছে এটি।

দর্শকে পরিপূর্ণ কানের থিয়েটারে নির্মাতা বললেন, ‘আশা করছি ইরান থেকে নিপীড়ন ও স্বৈরাচারের বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’

দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ ছবির অভিনয়শিল্পীদের ওপরেও ছিল দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। তাই আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও কানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তাঁরা। লালগালিচায় তাই অভিনেতা মিসাঘ জারেহ ও অভিনেত্রী সোহেলিয়া গোলেস্তানির ছবি দুই হাতে ধরে প্রদর্শন করেছেন নির্মাতা রসৌলফ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইরান-ফ্রেঞ্চ অভিনেত্রী গোলশিফতেহ ফারহানিসহ বেশ ক’জন।

সিনেমাটির গল্প এগিয়েছে ইমান নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে। যিনি তেহরানের বিপ্লবী আদালতের একজন তদন্তকারী বিচারক। দেশব্যাপী রাজনৈতিক প্রতিবাদ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে তার মনে জন্মায় অবিশ্বাস ও সন্দেহ। এক সময় তার বন্দুক রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। তিনি সন্দেহ করা শুরু করেন যে স্ত্রী নাজমেহ ও তার কন্যা রেজভান এবং সানা এই ঘটনায় জড়িত। তিনি বাড়িতে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেন, যার ফলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ধাপে ধাপে তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও পারিবারিক জীবনের চিত্র বদলে যায়।


শর্টলিংকঃ