সিলেটের ওসমানীনগরের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়ার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয়দানকারী এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানার রাউতখাই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক আবু বকর শাকিল ওরফে নাজমুল শাকিল চাঁদপুর সদর উপজেলার আমজদ আলী (দাসপাড়া) এলাকার আবুল হোসাইন ঢালীর ছেলে।
সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, এএসপি পরিচয়দানকারী আবু বকর শাকিল ওরফে নাজমুল শাকিল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার নজরে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান সিলেট জেলার ওসামানীনগরের তাজপুর ইউনিয়নের দশহাল নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়। পরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তিনি বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু বকর শাকিল ওরফে নাজমুল শাকিল নিজেকে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ৩৭তম (বিসিএস) এ উত্তীর্ণ পুলিশ ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা হতে ১ বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে এখানে এসেছে। পরবর্তীতে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার প্রদানকৃত বক্তব্যে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা নয় মর্মে স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, এ সময় তার হেফাজত হতে বাংলাদেশ পুলিশের লোগো সম্বলিত একটি ওয়ালেট, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ১ জোড়া হাতের বালা, নগদ টাকা, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির ৪টি সংযোগ, প্রতারণারকাজে ব্যবহৃত মোবাইল, ১টি ৮জিবি মেমোরিকার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। তার ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্টে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করে।
সাধারন মানুষের মাঝে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এসআই সুজিত চক্রবর্তী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
