প্রথম ধাপে রংপুর ময়মনসিংহ ও সিলেটে উপজেলা ভোট


ইউএন ডেস্ক নিউজ:

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে তিন বিভাগের ৬৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রথম ধাপে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অর্ধেকের মতো জেলার সব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। মোট পাঁচ ধাপে সারা দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া সারা দেশের যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ ২১ মার্চের মধ্যে শেষ হবে, সেগুলোতেও একইদিন ভোটগ্রহণ করা হবে।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইতিমধ্যে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রথম ধাপে ৮ অথবা ৯ মার্চ ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে ইসি সচিবালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ৮ মার্চ শুক্রবার। একই দিন বিশ্ব নারী দিবস। যে কারণে ৯ মার্চ ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ ১২৫টি উপজেলায়, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ১১১টি এবং ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১৫৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। রমজানের পরে পঞ্চম ধাপে জুনের দিকে ১৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির কার্যবিবরণী থেকে আরো জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের অর্ধেকের বেশি জেলার সব উপজেলাতে ভোট হবে। সারা দেশের যেসব উপজেলার মেয়াদ ২৬ মার্চ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচনও এই ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় ধাপে খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অবশিষ্ট জেলার সব উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। সারা দেশের যেসব উপজেলার মেয়াদ ৩০ মার্চ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচনও এই দিন অনুষ্ঠিত হবে।
চতুর্থ ধাপে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের সম্পূর্ণ জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বাকি জেলার সব উপজেলা ভোটগ্রহণ করা হবে। সারা দেশের যেসব পরিষদের মেয়াদ ১৯ জুনের মধ্যে শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচনও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পরিষদের প্রথম সভা ২০১৪ সালের ২০ জুনের পরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেগুলোতে রমজান মাস শেষে ঈদের পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
ইসি সচিবালয় থেকে আরো জানা যায়, এ বছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বা হওয়ার চেষ্টা এবং অন্যান্য কারণে ৩২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন। এসব উপজেলার নির্বাচনও প্রথম ধাপে ৮ অথবা ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। তবে একই বছর অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে দলটি অংশ নিয়ে ১১৬টি উপজেলায় জয় পেয়েছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জিতেছিল ২৬২টি উপজেলায়।
সেবার প্রথম দুই ধাপের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল এবং বিএনপি সরকারি দলের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় জয় পেয়েছিল। তবে তৃতীয় ধাপ থেকে ষষ্ঠ (শেষ ধাপ) ধাপ পর্যন্ত নির্বাচন ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা ঘটে। #
সূত্র: যুগান্তর

শর্টলিংকঃ