নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিকদের নিজেদের ভেতরে বিভাজন তৈরি করতে পারে- জনপরিসরে প্রকাশ্য কর্মসূচিতে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান না করার জন্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহীতে কর্মরত একদল সাংবাদিক। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর যেকোনো রকমের রাজনৈতিক কিংবা প্রশাসনিক হয়রানির বিপক্ষে এই পেশাজীবীরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিবৃতিতে রাজশাহীতে সম্প্রতি ‘সাংবাদিকদের হয়রানির প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে কয়েকজন বক্তার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়, তারা সাংবাদিক হয়রানির পেছনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু সাংবাদিককে দায়ী করে আপত্তিজনক বক্তব্য রেখেছেন। সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা প্রকাশ্য সমাবেশে সাংবাদিক পেটাতে চেয়েছেন, অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই মানববন্ধন থেকে অযাচিতভাবে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা’র পক্ষে ইঙ্গিতবাহী প্রচারণা চালানো হয়, যা একটি বিশেষ পক্ষের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সাংবাদিকবৃন্দ এসব ‘আত্মঘাতী’ বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে, এই কর্মসূচিকে কেউ কেউ সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদের চেয়ে বিশেষ কোনো মহলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছে, যা রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের মধ্যে সুদূরপ্রসারী অনৈক্য তৈরি করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দৈনিক ইত্তেফাকের আনিসুজ্জামান, বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য জাবীদ অপু, আরইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমান, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য শরীফ সুমন, আরইউজের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সামাদ খাঁন, আরটিজেএ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান জনি আরইউজে কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, নির্বাহী সদস্য শরীফুল ইসলাম তোতা প্রমুখ।