আবার অডিটের উদ্যোগ বাংলালিংকে


ইউএনভি ডেস্ক:

একই সঙ্গে রবি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে যাওয়া এয়ারটেলের হিসাব অডিট করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিটিআরসি। গ্রামীণফোনে দু’বার অডিট হলেও গ্রাহক বিচারে এক সময়ের দ্বিতীয় অপারেটর বাংলালিংকে অডিট করতে দু’দফা উদ্যোগ নিয়েও তা এগােয়নি।

এবার তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ অপারেটরটিতে বিশেষ নিরীক্ষা চালাতে চায়।

এ জন্য কমিশনের সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কমিশনারকে আহবায়ক করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গত মাসে এক কমিশন সভায় বাংলালিংকে হিসাব অডিট করার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এ অডিট করা হয়।

এর আগে বাংলালিংকে অডিট করতে ২০১১ সালে অডিটর নিয়োগ দেওয়ার পর তারা কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে এসে অডিটর কাজ করবে না বলে জানায়।

ওই সময় অডিটর বদলে নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেও তারাও এক পর্যায়ে এসে অডিট করতে অস্বীকৃতি জানায়।

তবে অডিট প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি কখনোই এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।

পরে ২০১৭ সালে এসে আবারো বাংলালিংকের হিসাব অডিটের উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। ওই বছর বেশ খানিকটা সময় নিয়ে দাফতরিক কাজকর্ম অনেকটা এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহীদের কাছ থেকে প্রস্তাবও নেওয়া হয়।

অডিটর বাছাই করতে গিয়েও সময় বেশি চলে যাওয়ায় এক পর্যায়ে তা বাতিল করে দেয় কমিশন। তবে বারবার বাংলালিংকে অডিটের প্রক্রিয়া শুরু করেও তা বাতিল করা নিয়ে সব সময়ই নানা মহল থেকে প্রশ্ন এসেছে।

আইনগতভাবে মাঝে মাঝেই বিটিআরসির বিভিন্ন অপারেটরের আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত বিষয়ে অডিট করার এখতিয়ার থাকলেও এত বছরে এ ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য খুবই কম।

গ্রামীণফোন ও রবির অডিট সম্পন্ন করার পর ১৩ হাজার কোটি টাকার অডিট আপত্তির কথা জানায় বিটিআরসি। তারা এ পরিমাণ অর্থও দাবি করে অপারেটর দুটির কাছ থেকে। এ নিয়ে দীর্ঘ জটিলতা চলছে এবং বারবার আদালতে গড়িয়েছে বিষয়টি।

সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্বাচিত কোম্পানিকে ১৮০ দিনের মধ্যে অডিট শেষ করার সময় দেওয়া হবে। গ্রামীণফোন ও রবি’র ক্ষেত্রেও একই শর্ত দেওয়া হলেও তা মানতে পারেনি অডিট কোম্পানিগুলো।


শর্টলিংকঃ