‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য’ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ


ইউএনভি ডেস্ক:

সারাদেশের হোটেল, মোটেল ও উপকূলীয় এলাকায় এক বছরের মধ্যে ‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য’ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

পরে সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে পলিথিন নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। ২০০২ সালে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনও রয়েছে।

কিন্তু প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন- কটন বার্ড, প্লাস্টিক বোতল, প্লেট, ব্যাগ ও ফুড প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। দেশের ৫৪ নদী ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলছে। এতে পানি, মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়ছে।

পরে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতিসহ (বেলা) ১১ সংগঠন এক রিট পিটিশন দায়ের করি এবং রিটে বিভিন্ন গবেষণা পত্র ও বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক রোধের কার্যকর ব্যবস্থাগুলো আদালতে তুলে ধরি।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

পাশাপাশি আগামী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি, প্লাস্টিক বন্ধের ব্যাপারে কি কি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্ট প্রডিউসার অ‌্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ আট বিবাদীকে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ