‘আমি পাপ করেছি, আমার বিচার করুন’


চারঘাট প্রতিনিধি :

রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর আমলি আদালত-১ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল আমিন ভূঁইয়ার কাছে স্বীকারোক্তি দেন তিনি। অভিযুক্ত শাহজাহান গাজী আদালতে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি- আমি পাপ করেছি, আমার বিচার হওয়া উচিত।’ 

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতীকি ছবি।

গ্রেফতার শাহজাহান গাজী চারঘাটের শলুয়া সরকার পাড়া মসজিদের ইমাম এবং স্থানীয় ফতেপুর ফুরকানিয়া মাদ্রাসায় শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। চারঘাটের কানোছগাড়ী গ্রামে গত ২০ বছর ধরে তিনি বসবাস করছেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালিতে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার প্রতিবেশী।

স্থানীয়রা জানায়, শাহজাহান গাজী এর আগে ৪টি বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে একজনকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। দু’জন মারা গেছেন আর একজন তার সঙ্গে বসবাস করছেন।

চারঘাট থান পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার চারঘাট থানা পুলিশ অভিযুক্ত শাহজাহান গাজীকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে তিন ঘণ্টা ভাবার সময় দেন। পরে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতে ধর্ষক শাহজাহান গাজী স্বতঃম্ফূর্তভাবে তার দোষ স্বীকার করেছেন।

চারঘাট মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবার বরাত দিয়ে জানান, মেয়েটি ওই ইমামের কাছে কোরআন শিখতে যেত। মাঝে মধ্যেই শাহজাহান গাজী পড়ানোর অজুহাতে কিশোরীকে বাসায় ডাকতেন। তারা সরল মনে কিশোরী মেয়েকে পাঠাতেন। কিন্তু ইমাম মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বর্তমানে ওই কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

ওসি আরও জানান, মেয়েটির মা প্রথম বিষয়টি বুঝতে পেরে মান সম্মানের ভয়ে চেপে যান। পরে সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে জানতে পারেন, তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি মেয়ের বাবাও জানতে পারেন। পরদিন তিনি চারঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায়  আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শাহজাহান গাজীকে গ্রেপ্তার করে।


শর্টলিংকঃ