ইউএনভি ডেস্ক:
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক কমিয়ে আনতে যারা কাজ করে আসছিলেন, ইমরান খান তাদের অন্যতম।
চলমান ইরান-মার্কিন সংঘাত নিয়ে চলতি সপ্তাহের ব্রিফিংয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, গত তিন বছর ধরে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে। ইরানিরা পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এটি কেবল আমাদেরই না।-খবর ডন অনলাইনের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও ওমানের সুলতান এতে জড়িত ছিলেন। তারা ইরান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে।
সোলাইমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে ঘিরে পরবর্তী উত্তেজনা এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সঙ্গে প্রতিবেশী ইরানের ৯৯৭ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে তারা। ইরানের চিরবৈরী সৌদি আরবের সঙ্গেও দেশটির সম্পর্ক ভালো পাকিস্তানের।
যুক্তরাষ্ট্রে ইরানের কনস্যুলেট স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরাইশি পার্লামেন্টে বলেন, আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার কোনো চেষ্টার অংশ হতে যাবো না আমরা। কোনো দেশের বিরুদ্ধে আমাদের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
তার মতে, সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে, তা হবে ভয়ানক বিপর্যয়কর। এটা আমাদেরও গ্রাস করে ফেলবে। অতীতের মতো এখনো আমরা মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছি।