এই সময় হলুদ মেশানো দুধ কেন খাবেন?


ইউএনভি ডেস্ক:
হলুদ সবার চেনা একটি মশলা। এর উপকারিতার কথাও আমরা কম-বেশি সবাই জানি। নানারকম রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে, রূপচর্চার উপাদান হিসেবে এর ব্যবহার অনেক পুরোনো।
এই সময়ে হলুদ মেশানো দুধ কেন খাবেন?

ফেসপ্যাকে হলুদের ব্যবহার হয়, তাছাড়া হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও দারুণ কার্যকরী।হলুদের সঙ্গে যদি যোগ হয় দুধের গুণ, তাহলে তো কথাই নেই! এ জন্যই হলুদ মেশানো দুধ খাওয়ার প্রচলন সেই পুরোনো দিন থেকেই চলে আসছে। সোনালি রঙের এই দুধের প্রতিটি ফোঁটাতেই রয়েছে উপকারিতা। হলুদ-দুধ খেতে যেমন ভালো, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। জেনে নিন এই সময়ে হলুদ দুধ খাওয়া কেন জরুরি-

হজমের সহায়ক:
হলুদ-দুধের মধ্যে এমন গুণ রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। গ্যাস, পেট ফাঁপা, ডায়ারিয়া বা পেটের অন্য যেকোনো সমস্যায় নির্দ্বিধায় খান হলুদ-দুধ।

সর্দিকাশি সারায়:
গলা ব্যথা, সর্দিকাশিতে হলুদ মেশানো দুধ খান। আরাম পাবেন, তাছাড়া সর্দিকাশির উপসর্গও কমবে।

অ্যান্টি-অক্সিডান্ট:
কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে অ্যান্টি-অক্সিডান্ট দরকার। কোষে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডান্ট থাকলে তবেই তা অসুস্থতা আর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে। হলুদে কারকিউমিন নামে একটি সক্রিয় উপাদান রয়েছে যা অ্যান্টি-অক্সিডান্টে ভরপুর। দুধও শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডান্টের জোগান অটুট রাখে।

ব্যথা দূর করে:
গাঁটে ব্যথা বা অন্য যেকোনো পেশির ব্যথায় হলুদ মেশানো দুধ খান। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য হলুদ-দুধ খুবই উপকারী। দুধ আর হলুদ একসঙ্গে মিলে হাড় মজবুত করে, ব্যথা কমায়।

রক্তশুদ্ধির সহায়ক:
লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম এবং রক্তবাহী শিরা ও ধমনীগুলো পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত খান হলুদ-দুধ। তাতে রক্তও পরিষ্কার থাকবে।

ত্বকের দীপ্তি বাড়ায়:
ত্বক মলিন হতে দেয়া যাবে না। সবকিছুর পাশাপাশি নিজের যত্ন নেয়াও জরুরি। তাই প্রতিদিন হলুদ মেশানো এক গ্লাস দুধ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

যেভাবে তৈরি করবেন হলুদ-দুধ:
এক কাপ হলুদ-দুধ বানাতে হলে এক কাপ দুধ নিয়ে হালকা ফুটিয়ে নিন। তাতে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া যোগ করুন। স্বাদমতো চিনি দিতে পারেন। এক চিমটি জাফরান, বাদাম, কিশমিশের মতো ড্রাই ফ্রুটস যোগ করতে পারেন। দারুচিনি বা আদাও দেয়া যায়। চিনি খুব বেশি দেবেন না। খুব অল্প চিনি দিন যাতে স্বাদ আসে।


শর্টলিংকঃ