নিজস্ব প্রতিবেদক :
আদালতের রায়ে প্রাণের লাচ্ছা নিষিদ্ধ। এরপরও রাজশাহীতে উৎপাদিত একই লাচ্ছা তিন নামে বাজারজাত করায় ‘প্রাণ’ এগ্রো ফুডকে জরিমানা করা হয়েছে। তারা একই লাচ্ছা প্রাণ, মোঘল ও মিস্টার- এই তিনটি নামে ব্র্যান্ডিং করে বাজারজাত করে আসছিল।
রাজশাহী নগরীর সপুরায় বিসিক শিল্পনগরীতে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে প্রাণ এগ্রো ফুড লিমিটেডকে চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজের নেতৃত্বে ভেজাল বিরোধী এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
অভিযানে প্রাণ এগ্রো ফুড লিমিটেডকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর আওতায় ৪০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযান চলাকালে বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত রাতুল বেকারীকে অস্বাস্থ্যকর রং মেশানোর দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিসান বিন মাজেদ ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে জানান, আদালতের রায়ে ‘প্রাণ’এর লাচ্ছা সেমাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালতের নিষোধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নগরীর বিসিক শিল্প এলাকায় প্রাণ এগ্রো ফুড লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করছে। তারা একই প্রক্রিয়া ও একই মানের লাচ্ছা তৈরি করে তারা প্রাণ, মিস্টার ও মোঘল -এই তিনটি নামে ব্র্যান্ডিং করে বাজারজাত করছে। ফলে এটিও প্রতারণা। এছাড়া ব্যবহৃত ও পোড়া তেল তারা সঠিক প্রক্রিয়ায় নষ্ট না করে উন্মুক্তস্থানে ফেলে দেয়। যা আইনের পরিপন্থী।
জনস্বার্থে, জনকল্যাণে ও জননিরাপত্তায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।