এবার বর্ণবাদী প্রধানমন্ত্রী পেল ব্রিটেন!


ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো ব্রিটেনেও তিনি একজন বিভেদ সৃষ্টিকারী বলে পরিচিত। বিভিন্ন সময় উদ্ভট মন্তব্য করে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হয়েছিলেন তিনি।-খবর সিএনএনের

(FILES) In this file photo taken on July 06, 2019 Conservative MP and leadership contender Boris Johnson tastes an ice cream as he campaigns in Barry Island, west of Cardiff in south Wales. – Former London mayor Boris Johnson on July 23, 2019 won the race to become Britain’s next prime minister, defeating Foreign Secretary Jeremy Hunt in the Conservative Party leadership contest. (Photo by Frank Augstein / POOL / AFP)

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নির্বাচিত হওয়ার খবরে ব্রিটেনের অনেকেই হতাশায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইংল্যান্ডের বড় একটা সংখ্যক লোক অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে ট্রাম্পের সঙ্গেই তুলনা করেন। সামাজিক মাধ্যম টুইটারে তার বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে #নটমাইপিএম হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়েছে। এভাবেই নিজেদের হতাশার কথা জানিয়েছেন তার বিরোধীরা।

অতীতে লন্ডনের সাবেক এই মেয়রের হঠকারী মন্তব্য শুনে বিশ্বের অনেকেরই চোখ কপালে উঠতো। তার স্পষ্ট প্রমাদ বকুনিতে লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করতেন।বিশেষকরে আফ্রিকানদের নিয়ে তিনি মাঝেমধ্যে এমন সব মন্তব্য করতেন, যা সম্পূর্ণ বর্ণবাদী ও অশোভন। ২০০২ সালে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্য থাকাকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। পরবর্তী সময় ২০০৮ সালে লন্ডনের মেয়রপদে নির্বাচনের সময় সেসব মন্তব্যের দরুন ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছেন।

বিশ্বের বহুসাংস্কৃতিক শহরগুলোর মধ্যে একটি লন্ডনের মেয়র প্রার্থিতার সময় জনসন বলেন, বর্ণবাদকে তিনি ঘৃণা ও অবজ্ঞা করেন। এসব শব্দে লোকজন ব্যথিত হন। আর বেদনা কারণ হওয়ার জন্য আমি দুঃখিত।স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে তখন তার এসব বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে।

২০০২ সালে ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লেখা এক কলামে তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই একে৪৭ রাইফেলগুলো নিরব হয়ে যাবে, পাঙ্গাসও মানুষের শরীর খাওয়া বন্ধ করে দেবে এবং ব্রিটিশ করদাতাদের তহবিলের বড়ো পাখিতে চড়ে শ্বেতাঙ্গ প্রধানের ভূমি স্পর্শ দেখে উপজাতীয় যোদ্ধারা তরমুজ হাসিতে ভেঙে পড়বে।

পশ্চিমা দেশগুলোতে তরমুজকে বর্ণবাদের বড় প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। একই বছর স্পেকটেটরে লেখা এক কলামে তিনি বলেন, আফ্রিকা একটি কলঙ্ক হতে পারে, কিন্তু আমাদের চেতনার ওপর এটা একটি কলঙ্ক না। এটা কোনো সমস্যা না যে আমরা একসময় দায়িত্বে ছিলাম, বরং সমস্যা হচ্ছে, আমরা আর কোনো দায়িত্বে নেই।

তিনি বলেন, আফ্রিকা একটি বিশৃঙ্খল অঞ্চল। কিন্তু ঔপনিবেশিকতাকে আমরা দোষী করতে পারি না। টেলিগ্রাফে লেখা আরেক কলামে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের বাইরে যাওয়া ব্লেয়ারের জন্য কতটা স্বস্তিদায়ক। বলা হয়ে থাকে যে, রানি কমনওয়েলথকে ভালোবাসতে এসেছেন। অংশত সত্য। কারণ, এটা তাকে পতাকা-নাড়ানো উল্লসিত নিগ্রো শিশুদের যোগান দেয়।


শর্টলিংকঃ