কক্সবাজারে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবহার


ইউএনভি ডেস্ক:

কক্সবাজারে রােহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যােগাযোগ চলছে। এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। সীমান্ত এলাকাসহ শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রতিবেশি দেশটির মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবহারও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ওই নেটওয়ার্কের কাভারেজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বন্ধ করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী বিষয়ক সেল থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) অনুরোধ করা হয়েছে।

কক্সবাজারে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবহার
মিয়ানমারের একটি মোবাইল টাওয়ার। ছবি : সংগৃহীত

এরপর বিষয়টির গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত হতে বিটিআরসি থেকে স্পেকট্রাম মনিটরিং বিভাগের কর্মকর্তাদের কক্সবাজারে পাঠাতে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে।বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেক আগে থেকেই বন্ধ। এ সুযােগে প্রতিবেশি দেশটি তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে নিয়েছে।

মিয়ানমার থেকে আগত মোবাইল নেটওয়ার্ক এখন বাংলাদেশের অনেকটা ভেতর পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার বিস্তৃত এলাকায় চলে আসছে। ফলে বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা রীতিমতো যোগাযোগ করছেন।

দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় মিয়ানমারের নেটওয়ার্ক বন্ধের অনুরোধ বিটিআরসিতে এসেছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের সিম এখন কক্সবাজার এলাকায় মিলছে। যেহেতু বাংলাদেশের সিম ব্যবহারে সরকারের দিকে থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, সে কারণে তারা এখন মিয়ানমারের সিম ব্যবহার করে সেবা নিচ্ছেন।

বিটিআরসি গত সেপ্টেম্বরের শুরুতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সব ধরনের মোবাইল ডেটার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। পরে এসএমএস সেবাও বন্ধ করে।ফলে এখন বাংলাদেশের সিম দিয়ে শুধু কথা বলা ছাড়া আর কোনো সেবা মেলে না।

অন্যদিকে মিয়ানমারের সিম হলে সেটি দিয়ে ডেটা সংযোগের মাধ্যমে যে কোনো কমিউনিকিশন্স অ্যাপ সহজেই ব্যবহার করতে পারা যায়। তাছাড়া ইন্টারনেটের ব্যবহারও করা যায়।এই কারণে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশর মধ্যে তারা আগের চেয়ে জোরালো করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুনপুঠিয়ায় ৩৫০ শিক্ষার্থীর পাঠদান করান ২ জন শিক্ষক


শর্টলিংকঃ