গোদাগাড়ীতে জালিয়াতির দায়ে সহকারী প্রিজাইডিংসহ আটক ৩ : ভোট স্থগিত


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
অবৈধভাবে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার দুপুরে পৌনে ১টার দিকে উপজেলার আল জামিয়াতুস সালাফিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। এ সময় কেন্দ্র থেকে দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রতীকে সিল মারা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।

মশিউর রহমান জানান, স্থগিত হওয়ার আগে কেন্দ্রটিতে প্রায় ১৭ শতাংশ ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই বুথ দুটিতে  প্রভাবশালী একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দলীয় প্রতীকে অবৈধভাবে সিল মারা হচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। এরপর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম গিয়ে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেন। এরা হলো সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার  নাজমুল হাসান ও মোহা আব্দুল মুকিত এবং  চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট  মোহাম্মদ আলী। আটক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সহযোগিতায় সিল মারা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম আটকদের থানায় নিয়ে  গেছেন।

এদিকে,  তথ্য গোপনের অভিযোগে   বিভিন্ন অভিযোগে আলীপুর ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট আমিনুল ও  প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে খাদেমূলকে কে আটক করেছে পুলিশ।  দুজনেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানপ্রার্থী মো. বদিউজ্জামানের পোলিং এজেন্ট।

গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. বদিউজ্জামান (আনারস), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাইদুর রহমান (হাতুড়ি) ও জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন বিশ্বাস (লাঙল)।


শর্টলিংকঃ