লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে গোপন বৈঠক: পৌর মেয়রসহ ১১জনের জেল


দূর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর দুর্গাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ ১১ নেতাকর্মীকে আটকের পর পাঁচদিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভা ভবন থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।

গোপন বৈঠকে নাশকতা পরিকল্পনার দায়ে দুর্গাপুর পৌর মেয়রসহ গ্রেফতার ১১ জন

পুলিশ সুপার  বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে ভোটের দিন নাশকতার পরিকল্পনা করতে তারা পৌরসভায় গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। পরে সবাইকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধ সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

দুর্গাপুর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘শুক্রবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্র চেয়াম্যানপ্রার্থী  আবদুল মজিদ সরদারের সমর্থকরা বিধি ভঙ্গ করে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এই অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের কাছে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র পাওয়া যায়।

নির্বাচন কেন্দ্র করে অস্ত্র জমা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি জমা দেন নি। তাদের আটকের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ ও জর্জ মিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে পাঁচদিন করে কারাদন্ড দেয়া হয়।

আটক অন্যরা হলেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দৌলিয়া বাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও আওয়ামী লীগ কর্মী সাকিল।

জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম। তার বিপরীতে ভোটের মাঠে লড়ছেন একই দলের দুইজন প্রার্থী। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরদার এবং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাদের।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনয় কুমার, আব্দুল মোতালেব, বেলাল হোসেন ও রেজাউল করিম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বানেছা বেগম, সাহিদা বিবি, জলিদা বেগম ও সারমিন আহম্মেদ।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার বলেন, ‘দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে বৈঠক করছিলেন মেয়রসহ তার কিছু সমর্থক। কিন্তু প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়ায় তাদের আটক করেছে।’


শর্টলিংকঃ