চাটমোহরে মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে কোপাল ছেলে


চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার চাটমোহরে মায়ের পরকীয়ার জের ধরে বাড়িতে ডেকে রবিউল ইসলাম (৪৫) নামে এক দিনমজুরকে কুপিয়ে জখম করেছে ছেলে মামুন হোসেন (২০)। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়-গুয়াখড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিউল পার্শ্ববর্তী উপজেলা আটঘরিয়া উপজেলার কুমরেশ্বর গ্রামের নঈমুদ্দিনের ছেলে। মামুন বড়-গুয়াখড়া গ্রামের মৃত আসাব আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় পনের বছর আগে স্ত্রী জরিনা খাতুন ও তিন সন্তানকে রেখে আসাব আলী মারা যান। অন্যদিকে রবিউল ইসলাম গত দুই বছর আগে তার স্ত্রীকে তালাক দেন। সম্প্রতি মোবাইলের মাধ্যমে রবিউল ও জরিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তা দৈহিক সম্পর্কে পৌঁছায়।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জরিনা খাতুনের মেজ ছেলে মামুন কৌশলে রবিউলকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। বৃহস্পতিবার সকালে রবিউল তাদের বাড়িতে আসলে আপ্যায়ন শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় পেছন থেকে মামুন তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক রবিউলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

এতে রবিউলের ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায় এবং কাঁধের হাড় শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাটমোহর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুমুর্ষু অবস্থায় রবিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চাটমোহর থানা পুলিশ। তবে পরকীয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে রবিউল ইসলাম ও জরিনা খাতুন জানান, বার দিন আগে তারা রেজিষ্ট্রি ছাড়াই বিয়ে করেছেন। তবে বিয়ের স্বপক্ষে কোন কাগজ দেখাতে পারেননি তারা।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল কুদ্দুস ডলার জানান, রবিউল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার হিউমেরাসের মাথা (কাঁধের হাড়) কেটে গেছে এবং ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে পড়ে গেছে। মেজর সার্জারীর প্রয়োজন বিধায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ঘটনার ব্যাপারে চাটমোহর থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, পরকীয়ার জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ