ছিনতাই চেষ্টার ফ্লাইট থেকে টাইম বোমা উদ্ধার


ইউএনভি ডেস্ক :

বোমাটির ছবি দেখিয়ে সারওয়ার-ই-জামান বলেন, বোমার সাথে একটি টাইমার লাগানো ছিল। এই টাইমার বারবার সময় কাউন্টের শব্দ করছিল। এটি দেখে প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিমানের আশপাশ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। পরে  বিজি-১৪৭কে রানওয়ে থেকে সরিয়ে  তল্লাশি করে বোমাটি উদ্ধার করা হয়।

ছিনতাই চেষ্টার কবলে পড়া বিমানটি। রোববার রাতের ছবি।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি১৪৭ থেকে টাইম বোমা উদ্ধার করেছে বিমান বাহিনীর বোমা ডিসপোজাল টিম। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার সারওয়ার-ই-জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে টাইম বোমাটি উদ্ধার করা হয়। বোমাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী নিহত পলাশ আহমেদের (২৬) লাগেজের মধ্যে ছিল।

বোমাটির ছবি দেখিয়ে সারওয়ার-ই-জামান বলেন, বোমার সাথে একটি টাইমার লাগানো ছিল। এই টাইমার বারবার সময় কাউন্টের শব্দ করছিল। এটি দেখে প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিমানের আশপাশ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। পরে  বিজি-১৪৭কে রানওয়ে থেকে সরিয়ে  তল্লাশি করে বোমাটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, নিহত যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করছেন। এটি খেলনা কি-না সেটি দেখার জন্য অস্ত্রটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জানা যায়, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটি জিম্মি করেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করে। এর পরপরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সামরিক বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

পরে সব যাত্রীকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হলেও একজন ক্রুকে ওই ছিনতাইকারী জিম্মি করে রাখে। এরপর বিমানবন্দরে যায় সোয়াত ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসও। রাতে পলাশ আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সূত্র: যুগান্তর


শর্টলিংকঃ