ছুটিতে টাঙ্গুয়ামুখী নিসর্গপ্রেমীরা


ইউএনভি ডেস্ক:

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে সুনামগঞ্জের পর্যটনের দুয়ার। আজ রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টাঙ্গুয়ার হাওরে যেতে পারবেন পর্যটকরা। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক), বারেকের টিলা, জাদুকাটাসহ সুনামগঞ্জ সীমান্তের সব পর্যটন স্পটে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের।

তবে হাওরে ট্রলারে কেউ রাতযাপন করতে পারবেন না। অনুমতি পাওয়ায় শনিবার থেকেই পর্যটক বেড়ে গেছে তাহিরপুরে। টানা তিন দিনের ছুটি এবং প্রায় পাঁচ মাস পর অনুমতি পাওয়ায় সব পর্যটন কেন্দ্রে প্রকৃতিপ্রেমীর ভিড় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সবচেয়ে বড় জলাভূমি বিশ্বের অন্যতম রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর। জল, জ্যোৎস্না আর ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের সৌন্দর্য একসঙ্গে দেখা যায় এখানে।

সুনামগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। ছয়কুড়ি বিল, নয়কুড়ি কান্দার সমন্বয়ের এ হাওর দৈর্ঘ্যে ১১ ও প্রস্থে ৭ কিলোমিটার। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারণ করে এই হাওর। এই মৌসুমে অন্যান্য হাওরের সঙ্গে মিশে এটি যেন সাগরের রূপ ধারণ করেছে।

এদিকে, অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে এবার পর্যটন জোন তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওরসহ আশপাশের এলাকার সৌন্দর্য যেন কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। করোনার কারণে গত ১৯ মার্চ থেকে এসব স্থানে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রকৃতি ফিরেছে তার নিজের রূপে। সেজেছে অপরূপ সাজে। হাওরের বিশাল জলরাশির সঙ্গে গাছগাছালি সবুজ হাতছানি উপেক্ষা করার ক্ষমতা নেই যেন কোনো মানুষের।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, রোববার থেকে সুনামগঞ্জের পর্যটন জোন টাঙ্গুয়ার হাওর, বারেকের টিলা ও শহীদ সিরাজ লেকে চলাচলে কোনো বাধা নেই পর্যটকের। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। হাওরে ট্রলারে কেউ রাতযাপনও করতে পারবেন না।


শর্টলিংকঃ