নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক স্বামী-স্ত্রী পুনরায় সংসার করার আগ্রহে দেখা করতে এসে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় তাদের সাথে এক শিশু থাকায় স্থানীয়রা ছেলেধরা সন্দেহে তাদের আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
এহসান আলী ও সেলিনা বেগম দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কিন্তু এরপরও তাদের যোগাযোগ ছিল। তাই মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার কথা বলে এহসান ডেকেছিল সাবেক স্ত্রী সেলিনাকে। সেলিনা তার আট বছরের চাচাতো বোন মৌসুমীকে সঙ্গে নিয়ে মোবাইল নিতে আসে। এ পর্যায়ে এহসানের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় সেলিনা। এসময় স্থানীয়রা ছেলেধরা সন্দেহে তাদের আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বুধবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খারিজাগাথি এলাকা এই ঘটনা ঘটে।
গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খান ইউনিভার্সাল২৪ নিউজকে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার হরিশপুর গ্রামের এহসান আলী কালু চরবাগডাংগা গ্রামে সেলিনা বেগমের দম্পতির কিছুদিন আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তবে তারা আবারো সংসার করতে আগ্রহী হওয়ায় এহসানের বন্ধু রবিউল ইসলাম তাদেরকে নিয়ে এলাকার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য জালালের বাড়ির পাশে যায়। এসময় সেলিনার সঙ্গে ছিল তার চাচাতো বোন ৮ বছরের মৌসুমী।
তাদের মধ্যে কথাবার্তার একপর্যায়ে গন্ডগোল দেখা দিলে স্থানীয় লোকজন তাদের কাছে শিশু মৌসুমীকে দেখে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহ করে ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে নেয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তারা ছেলেধরা নয়। পারিবারিক কলহের জেরে ভুল বুঝাবুঝির পর্যায়ে গন্ডগোল হলে স্থানীয় জনগণ ছেলে ধরা মনে করে পুলিশের কাছে দিয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।