জঙ্গিদের নিশানার ভূয়া খবরে আট রাজ্যে রেডঅ্যালার্ট জারি


 

অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর নিছক একটা ফোন কল। তাতেই ভারতে আটটি রাজ্যজুড়ে রেডঅ্যালার্ট জারি করা হয়। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় নেয়া হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা। তবে পরে জানা গেলে সেটি ভুয়ো। 

জানা  গেছে, কর্ণাটক পুলিশ শুক্রবার রাতে একটি ফোন কল পায়। সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার কথা বলা হয়। সেই ফোন কলের ওপর ভিত্তি করে কর্ণাটক পুলিশের ডিজি তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কেরল, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া ও পণ্ডীচেরি সরকারকে চিঠি লিখে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান। বলা হয় ১৯ জনের একটি জঙ্গি দল হামলার পরিকল্পনা করেছে।

শুক্রবার তামিলনাড়ুর পাম্বান ব্রিজে বোমা হামলার খবর ছড়ায়। শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলার পর এখন তামিলনাড়ুতেও সতর্কতা জারি হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রে হামলায় ২৫৩ জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। এর মধ্যে ভারতীয় ১১ জন।

ফলে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল। কিছুক্ষণ পরে জানা যায় খবরটি ভুয়ো ছিল। কর্ণাটকের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী যিনি বর্তমানে লরির চালক হিসাবে কাজ করেন, সেই স্বামী সুন্দর মূর্তি ফোনটি করে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

এই মূর্তি বেঙ্গালুরুর অদূরে আভালাহল্লির বাসিন্দা। তাঁর পুত্র কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন। মূর্তির মনে হয়েছিল শ্রীলঙ্কার হামলার পরে ভারতে হামলা চালাতে জঙ্গিরা তৈরি। তাই তিনি পুলিশকে খবর দিয়ে সতর্ক করেন। তবে ততক্ষণে গোটা দক্ষিণ ভারতে সতর্কতা জারি হয়ে যায়।

এদিকে আজ আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়, জঙ্গিদের নিশানায় বেঙ্গালুরু। গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবর পাওয়ার পরেই রাজ্য জুড়ে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন। বেঙ্গালুরু, মাইসুরু এবং কর্নাটকে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার টি সুনীল কুমার সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন সংবেদনশীল জায়গা, ধর্মীয় স্থান, বাজার, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল-সহ জনসমাগম হয় এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।

এই হাই-টেক শহরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কাজের জন্য বহু মানুষ ভিড় জমান। এখানে দেশি ও বিদেশি মিলে প্রায় পাঁচশোরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র আছে। প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞানকেন্দ্র এবং ইসরো-র মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে এই শহরে। ফলে রাজ্য প্রশাসনের একটা বাড়তি নজরদারি বরাবরই রয়েছে এই শহরে।


শর্টলিংকঃ