জুলিয়ান আসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে যেভাবে


ইউএনভি ডেস্ক:

মার্কিন গোপন নথিপত্র ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটেনের পুলিশ। বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাত কর্মকর্তা তাকে টেনে-হেঁচড়ে দূতাবাস থেকে বের করে আনেন।

বহুদিন ধরেই লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। গ্রেফতারের সময় সাদা চুল-দাঁড়ির অ্যাসাঞ্জকে অনেকটা বিধ্বস্ত লাগছিল। এ সময় তার হাতে একটি বই ছিল এবং তিনি চিৎকার করছিলেন।

সাত বছর ধরে তিনি ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজৈনিতক আশ্রয়ে ছিলেন। যৌন সহিংসতার অভিযোগে করা একটি মামলায় সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে সাত বছর আগে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ।

২০১০ সালে সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তবে বরাবরই আসাঞ্জ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরও আত্মসমর্পণ না করায় অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের পুলিশ। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাকে যত দ্রুত সম্ভব ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হবে।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো জানিয়েছেন, বার বার আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করায় তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে উইকিলিকসের পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অ্যাসাঞ্জের ওপর থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইকুয়েডর।

বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ২০০৬ সালে উইকিলিকস নামের ওয়েবসাইটটি চালু করেন অ্যাসাঞ্জ। এই সাইটে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। এ কারণে বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়।


শর্টলিংকঃ