‘জোহার আত্মদানেই বেগবান হয় স্বাধীনতা আন্দোলন’


রাবি সংবাদদাতা:

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক শহীদ ড. মুহম্মদ শামসুজ্জোহার আত্মদানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী ।

জোহা স্মারক বক্তৃতায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী

শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষক সমাজ ও জাতির মেরুদণ্ড। তবে ভঙ্গুর মেরুদণ্ড নিয়ে দিন অতিবাহিত করলে জাতির যে ঋজু মেরুদন্ড নির্মাণ হয় না, নিজের জীবন উৎসর্গ করে তা আমাদের জানিয়ে গিয়েছেন ড. শামসুজ্জোহা। তাঁর আত্মদানে তৎকালিন সময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত হয়েছিল।

সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে ড. শামসুজ্জোহার ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘চরিতার্থ এক বিজ্ঞান জীবন: নির্মিতি ও সমকালের ভাবনা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ এ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও বলেন, সবাই জোহা হতে পারবে না। তবে কউে যে হবে না, তাও নয়। যাঁরা লড়াইয়ের ময়দানে নানা সময়ে আমাদের সামিল করেছেন ড. জোহা ছিলেন তাদের উত্তরসূরী। তবে যুগে যুগে জোহা তৈরির ধারা অব্যাহত থাকলেই কেবল তাঁর চেতনা আমরা ধারণা করছি বলে প্রতীয়মান হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তার হাতে উপহার তুলে দেন রাবি উপাচার্য

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি ড. জোহার যে তাগিদ ছিল, সেটা সবারই থাকে না। ড. জোহার শাহাদাতের মধ্যদিয়ে আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। তাঁর এই আত্মহুতি বৃথা যায়নি। পরবর্তী সময়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ আত্মহুতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।’

রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের ৫০/৫৫ জন শিক্ষখ ও রসায়ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের দুইশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ