ডাটা সার্ভার করে ধর্ম পালনকারী মুসলিমদের গ্রেফতার করে চীন (ভিডিও)


ইউএনভি ডেস্ক:

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে ধর্মের দৈনন্দিন রীতিনীতি পালনকারী মুসলিমদের তালিকা তৈরি করতে বড় ধরনের একটি ডাটা সার্ভার গড়ে তুলেছে চীন সরকার। এ তালিকা অনুসারে গ্রেফতার করা হচ্ছে মুসলিমদের।

বুধবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর আল জাজিরার।

খবরে বলা হয়, যেসব মুসলিম ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি যেমন- নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও হজে যাওয়ার মতো কাজ করেন, তাদের তথ্য এই ডাটা সার্ভারে জমা হয়। এ জন্য বড় ধরনের একটি ডাটা সার্ভার গড়ে তুলেছে চীন সরকার।

পরবর্তী সময় তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং শিনজিয়াংয়ের পারফেকচারে আটক রাখা হয়। চীন এই অভিযানের নাম দিয়েছে ইন্টেগরেটেড জয়েন্ট অপারেশন্স প্লাটফর্ম (আইজিওপি)।

বুধবার প্রকাশিত এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আইজিওপি প্রোগ্রামের আওতায় আটক দুই হাজার বন্দির ফাঁস হওয়া তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- দৈনন্দিন ধর্মীয় রীতি পালন ছাড়াও উইঘুর মুসলিমদের রিলেশনশিপ, যোগাযোগ ও ভ্রমণ ইতিহাস সংগ্রহ করা হয় কর্তৃপক্ষের সন্দেহভাজনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।

এইচআরডব্লিউ’র জ্যেষ্ঠ চীনা গবেষক মায়া ওয়াং বলেন, আকসু তালিকা প্রমাণ করে কিভাবে চীন শিনজিয়াংয়ের মুসলিমদের বর্বর দমন-পীড়ন করে থাকে।

এমনকি কেন আটক করা হয়েছে এবং তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে- আটকদের পরিবারের সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাবও দেয় না চীন সরকার।

জাতিসংঘের অনুমান ১০ লাখের বেশি টার্কিক মুসলিমকে (যাদের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র উইঘুর নৃগোষ্ঠীর সদস্য) শিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক করে রাখা হয়েছে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, এই আটকের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলা এবং চীনা সরকারের প্রতি অনুগত হিসেবে গড়ে তোলা।

চীন সরকার অবশ্য নিয়মিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে এবং আটক ক্যাম্পগুলোকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলে দাবি করে। সরকারের বক্তব্য হচ্ছে ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ’ দূর করার জন্য এসব পদক্ষেপ।


শর্টলিংকঃ