ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা: প্রধানমন্ত্রী


ইউএনভি ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের ৬২ শতাংশ ভৌত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কারিগরি দিক থেকে অত্যন্ত জটিল এ সেতুর পাইল ড্রাইভিং চলাকালে সয়েল কন্ডিশনের কারণে কিছু পাইলের নতুন করে ডিজাইন করতে হয়েছে।

তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। বুধবার সংসদের অধিবেশন চলাকালে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী। ফাইল ছবি।

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষের নির্বাচনী কোনো প্রস্তুতি বা কৌশল ছিল বলে মনে হয়নি। তাদের পরাজিত হওয়ার পেছনে এক আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়ন–বাণিজ্য, দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তার অনিশ্চয়তা, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নেতাদের মনোনয়ন দেওয়াসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে।’

নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রেকর্ডের জন্য রাজনীতি করি না। প্রধানমন্ত্রিত্ব আমার কাছে উপভোগের কোনো বিষয় নয়। এটি একটি দায়িত্ব এবং অবশ্যই কঠিন দায়িত্ব। যখনই আপনারা এ দায়িত্ব দিয়েছেন, তখনই আমি আরও বেশি করে দায় বোধ করেছি। আমার একমাত্র লক্ষ্য এ দেশের মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারে, তা বাস্তবায়ন করা।’

আরও পড়ুন: মামলার রায় হলে জামায়াত ‘নিষিদ্ধ’ হবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, পরিচিতি তথ্য যাচাইয়ের জন্য গত বছর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা সরবরাহ করলে তারা তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৮৪ জনকে মিয়ানমারের আধিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাকি ২ হাজার ৪৩১ জনকে নিবন্ধনকৃত পরিবারের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে মিয়ানমার সরকার আমাদের জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুদেশের সম্মতিক্রমে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে রাজি হয়নি। রোহিঙ্গাদের প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন ও নীপিড়ন বন্ধ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে হচ্ছে। আশা করা যায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ শিগগিরই রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে যথাসম্ভব দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।


শর্টলিংকঃ