দুর্গাপুরে যমুনা কোম্পানীর ফ্রিজ বিক্রিতে অভিনব প্রতারনা


 দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

ক্র্যাচ কার্ডে বাড়ি, গাড়ি, স্বর্নের গহনার কথা বলা হলেও বাস্তবে এর উল্টোটা। অথচ ক্র্যাচ কার্ড ঘষে মিলছে ছাতা, মোবাইল অথবা একটি নাকফুল। এমনই চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ও চমকপ্রদ কথা বলে গ্রাহকদের কাছে ফ্রিজ বিক্রি করছে দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর বাজারের সাদিয়া ইলেকট্রনিক্সের স্বতাধিকারী বাচ্চু সরকার।

কয়েকজন ক্রেতার কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে যাওয়া হলে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আলীপুর বাজারের সাদিয়া ইলেকট্রনিক্সের মালিক বাচ্চু সরকার ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে যমুনা কোম্পানীর ফ্রিজ বিক্রির জন্য নিয়েছেন অভিনব কৌশল। যমুনা কোম্পানী থেকে ফিজের সাথে কোন উপহার বা ক্র্যাচ কার্ড না দিলেও তিনি নিজ উদ্যোগে ক্র্যাচ কার্ড বানিয়েছেন।

আর এলাকায় ঘোষণা দিয়েছেন তার দোকান থেকে ফ্রিজ কিনে ক্র্যাচ কার্ড ঘষলেই পাওয়া যাবে বাড়ি, গাড়ি ও স্বর্নের হার। অথচ এখন পর্যন্ত যে কয়জন ক্রেতা তার দোকান থেকে ফ্রিজ কিনে ক্র্যাচ কার্ড ঘষেছেন তার সবকটিতেই দেখা গেছে ছাতা, দেড়শো টাকার নাকফুল অথবা ৭৫০ টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফ্রিজ ক্রেতা বলেন, রীতিমতো ক্রেতাদের সাথে এটা এক ধরনের প্রতারনা। এ

জন্য তিনি যমুনা কোম্পানীর বিক্রয় ও বিপনন বিভাগে অভিযোগ দিবেন। সেখানে কোন কাজ না হলে ভোক্তা অধিকার দপ্তরে অভিযোগ করবেন বলেও জানান। এ বিষয়ে কথা বলতে সাদিয়া ইলেকট্রনিক্সের মালিক বাচ্চু সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে তার ম্যানেজার হাশেম আলী দাবি করেন, ক্র্যাচ কার্ড কোম্পানী থেকেই দেয়া হয়েছে। কার্ডে কি কি উপহার আছে তা কোম্পানীর লোকজনই ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে যমুনা কোম্পানীর রাজশাহী অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার হাসিবুল ইসলাম জানান, কোম্পানী থেকে এ রকম কোন ক্র্যাচ কার্ড দেয়া হয়নি। হয়তো ডিলাররা তাদের ব্যবসায়ী পলিসি হিসেবে এটা নিজ উদ্যোগে করেছে।


শর্টলিংকঃ