দেশে বেড়েছে টেলিমেডিসিন সেবা


ইউএনভি ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কমে গেছে বিভিন্ন হাসপাতালে সরাসরি সেবা দেবার পরিমাণও।দেশে বেড়েছে টেলিমেডিসিন সেবা

তবে এই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর টেলিমেডিসিন সেবা দেবার পরিমাণ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা শহরের বড় বড় সব হাসপাতালগুলোও এখন এই তালিকায়। দিচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে টেলিমেডিসিন ইউনিট করে সেবা দেওয়া হচ্ছে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক, ইন্টারনাল মেডিসিন এবং করোনা ইউনিটের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আজিজুল হক আজাদ বলেন, রুগিরা যেন ঘর থেকেই চিকিৎসা সেবা পান সেজন্য ১৫ ডাক্তারের সমন্বয়ে হাসপাতাল থেকে টেলিমেডিসিন সেবা শুরু করা হয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টাই এই সেবা পাচ্ছেন রুগিরা।টেলিমেডিসিন সেবা নিতে প্রতিদিন হাজারের বেশি ফোনকল পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

নওগাঁ জেলার রাণীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান সনি টেকশহরডটকমকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে একটি ডেডিকেটেড টেলিফোন নম্বর টেলিমেডিসিন সেবা দিতে রাখা হয়েছে। সেই নম্বর থেকে দিতে গড়ে আড়াইশো জনকে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, অনেকেই এখন সামান্য কাশি বা জ্বরেও আতঙ্কিত হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি যারা টেলিমেডিসিন সেবা নিচ্ছে তাদের বিষয়গুলো বোঝানোর। এমনকি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ও সে থেকে প্রতিরোধের সব উপায়ও জানানো হচ্ছে এখান থেকে। অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এই সেবা নেবার পরিমাণ এখন অনেকগুণ বেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানাতে প্রতিদিন স্বাস্থ্য বুলেটিন আয়োজন করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখান থেকেও টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। গতকাল শনিবার পর্যন্ত মোবাইল ফোন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৪ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর বাইরেও প্রতিদিন হটলাইন নম্বরে আসা ফোনকলেও স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। অনলাইনে সেবা দিতে বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তাররা যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও অনলাইন মুক্তপাঠে স্বেচ্ছায় সেবা দিতে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৪ জন চিকিৎসক অনলাইনে নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে স্বেচ্ছাভিত্তিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ৩ হাজার ৯৪১ জন চিকিৎসক। সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল শনিবার পর্যন্ত ২৭ লাখ ২২ হাজার ৭১০ জনকে স্বাস্থ্য বাতায়ন, ৩৩৩ এবং আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে স্বাস্থ্য সেবা দিতে সম্প্রতি ভার্চুয়াল হাসপাতাল ‘হ্যালো ডক’ চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় বিনামূল্যে যেকেউ সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সেবা নিতে পারবেন।করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে একেবারে জরুরি চিকিৎসা সেবা ছাড়া হাসপাতালে যেতে নিরুৎসাহিত করছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে তারা টেলিমেডিসিন সেবা নিতে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে সরকারি সব হাসপাতালেই সব ধরনের চিকিৎসা সেবা চালু আছে।


শর্টলিংকঃ