নওগাঁয় আমের গুটিতে ভরে গেছে ডাল


নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:

সম্প্রতি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানান জাতের আমের বাগান। শীত শেষে বসন্ত এলেই এসব গাছের ডালগুলো ভরে যায় আমের মুকুলে। বর্তমানে এসব আমের মুকুলে এসেছে গুটি গুটি আম।

গাছ ভরা মুকুলের ভেতরে এসব গুটি গুটি আম দেখে এ বছর ভালো ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের আম বাগানের মালিকরা। উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে হরেক রকমের সুস্বাদু জাতের আমের চাষ। এর মধ্যে অন্যতম নাগফজলি, আম্রপালি, রুপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি ও ক্ষিরসাপাতি জাতের আম অন্যতম।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিন ফসলি জমির মাঠ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুরপাড় ও রাস্তার ধারে প্রকৃতিতে শোভা পাচ্ছে মৌ মৌ গন্ধে ভরা আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের প্রতিটি ডালে ডালে মুকুলে ভরে গেছে। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।

তবে আমের ফলন নির্ভর করছে অনেকটা আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমবাগানের মালিকরা।

স্থানীয় মোফাজ্জল হক সরকার বলেন, ‘আমার প্রায় পনেরো বিঘা জায়গাজুড়ে রয়েছে আম ও লিচুর বাগান। আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি গাছে এবার ভালো মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফলন পাব।’

এ বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১০০ থেকে ১১০টি আমের বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোনো ধরনের পোকা বা পচন ধরেনি। এ উপজেলায় সবচাইতে বেশি বারিফোর, আম্রপালি, গৌরমতি, নাগফজলি আমের চাষ হয় । এছাড়াও বারোমাসিসহ অন্যান্য জাতের আমও চাষ হয়ে থাকে। এ বছর আমাদের আম চাষে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬৭৫ হেক্টর।’

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/পিএল)


শর্টলিংকঃ