নওগাঁয় গো-খাদ্যের সংকটসহ নানামুখি সমস্যায় খামারীরা


রাজেকুল ইসলাম,রাণীনগর (নওগাঁ ):

করোনা ভাইরাস সংকটে হাট, বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন বন্ধ থাকায় নওগাঁর ১১ উপজেলার খামারীরা খামারের উৎপাদিত গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ,মাছ,হাঁস,মুরগী-মুরগীর বাচ্চা বাজারজাত করতে না পারা ও গো-খাদ্য সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে।


জানাগেছে, জেলায় ছোট-বড় গরুর ১৬৩৮টি খামার, ৭০৬১টি হৃষ্টপুষ্ট খামার, ৪২টি মহিষের খামার,১৫১৩টি ছাগলের খামার ও ৫৮৭টি ভেড়ার খামার রয়েছে। দেশের সিংহভাগ মাংসের চাহিদা পূরণ হয় ছোট-বড় খামারে উৎপাদিত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও মুরগির মাধ্যমে। জেলার অধিকাংশ খামারীরা অধিক সুদে ঋণ নিয়ে খামার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনকারী খামারীরা দাবী করছেন,তারা লোকসানের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন।আগে যে বাচ্চা বিক্রি হতো ৪০-৫০টাকা বর্তমানে ৬-১০টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে না। এজন্য খামারীরা বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে সবকিছু বন্ধ থাকায় খামারীরা গো-খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছেন। যেটুকু খাবার পাওয়া যাচ্ছে তার দামও দ্বিগুনের চেয়েও অনেক বেশি। যার কারণে ছোট পুজির খামারীরা পথে বসতে শুরু করেছেন। খামারীরা লোকসানের মুখে খামারের উৎপাদন বন্ধ করে দিলে মাংসের কৃত্রিম সংকট দেখা দিতে পারে।

রাণীনগর উপজেলার পল্লীশ্রী সমন্বিত প্রদর্শনী খামারের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান (রনি) বলেন,গো-খাদ্যের সংকট ও খামারের গরু,ছাগল,ভেড়া,মুরগির বাচ্চা বিক্রির উপযুক্ত হলেও বিক্রি করতে পারছি না। গোবাদি পশুগুলো বিক্রি করতে না পারায় খামারের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছি না।

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, কৃষিখাতের মতো দেশের খামারী শিল্পকে টিকে রাখতে হলে প্রণোদনার পরিমাণটা বৃদ্ধি করা উচিত। সেই সাথে খামারীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া,বাজার সহজলভ্য করা এবং ঘোষিত প্রণোদনা দ্রুত না দিলে দেশে মাংসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক মো: হারুনÑঅর-রশিদ বলেন,মাঠ পর্যায়ে ছোট-বড় খামারীদের তালিকা তৈরির কাজ চলমান আছে। প্রণোদনার বরাদ্দ এলেই খামারীদের মাঝে বিতরন করা হবে।


শর্টলিংকঃ