নিখোঁজের ৪ দিন পর প্রবাসীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার


ইউএনভি ডেস্ক:

পাবনায় নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর প্রবাসী আব্দুল খালেক খানের (৪৭) অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে জেলার আটঘরিয়া উপজেলার চৌকিবাড়ি এলাকার ইছামতি নদী থেকে আটঘরিয়া থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।


পরিবারের দাবি আব্দুল খালেককে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আব্দুল খালেক পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের শামসুদ্দিন খানের ছেলে।

আটঘরিয়া থানার ওসি সিদ্দিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা ইছামতি নদীতে একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ বিকাল ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগে তাকে হত্যা করে লাশটি নদীর পানিতে ডুবিয়ে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা।

এ দিকে আব্দুল খালেকের মরদেহ উদ্ধারের আগে দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তার স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, কুয়েত প্রবাসী আব্দুল খালেকের সঙ্গে সম্প্রতি তার প্রথম স্ত্রী উম্মেকুলসুম বীণার বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম কলহ বিরাজ করছিল।

এ অবস্থার মধ্যেই গত ১৭ জুলাই বিকালে আব্দুল খালেকের তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী উম্মেকুলসুম বীণার মোবাইল ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে তিনি বের হন। খালেক বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার বর্তমান স্ত্রী (দ্বিতীয় স্ত্রী)কে বলে যান তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকা ছোট সন্তানকে আনতে যাচ্ছেন।

কিন্তু ৪ দিন অতিবাহিত হলেও খালেক আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। এর পরদিন ১৮ জুলাই পাবনা সদর থানায় একটি জিডি করেন তারা। পরিবারের অভিযোগ নিখোঁজ খালেকের প্রথম তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী উম্মেকুলসুম বীণা ও তার বর্তমান স্বামী মো. শাহিদুল ইসলাম আসিফ পরিকল্পিতভাবে খালেককে ডেকে নিয়ে হত্যা বা গুম করতে পারেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মো. আব্দুস ছালাম খান। এ সময় বড় ভাই মো. খলিলুর রহমান খান, দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. সাদিয়া খাতুন ও চাচা মো. আলমগীর হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ