পদ্মায় ফুল ভাসিয়ে বিজু উৎসবে মাতলো পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রীতি অনুযায়ী পহেলা বৈশাখের দুই দিন আগে থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের বিজু,  সাংগ্রাই ও বৈসুক উৎসব শুরু হয়। পানিতে ফুল ভাসিতে তারা উৎসবের সূচনা করে। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা।

পড়ালেখাসহ নানা কারণে রাজশাহীতে অবস্থান করা তিন পার্বত্য জেলার জুম্ম শিক্ষার্থীরাও ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব মেতে ওঠে। ভৌগলিক দূরত্বের কারণে তারা যারা নিজ এলাকায় গিয়ে এ উৎসব যোগ দিতে না পারে, তারা রাজশাহীর পদ্মায় ফুল ভাসিয়ে ছোট পরিসরে উৎসব উদযাপন করে।

প্রতি বছরের মতো এবারও তারা পদ্মায় ফুল ভাসিয়ে উৎসবের সূচনা করেছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পদ্মা নদীতে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পুকুরে এ উৎসবের আয়োজন করে। মূলত রাবি ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়ে এ উৎসব উদযাপন করে।

জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অর্পন চাকমা বলেন, পড়ালেখার কারণে রাজশাহীতে অবস্থান করছি বেশ কয়েক বছর।  উৎসবের সময় ক্লাস-পরীক্ষাসহ নান ব্যস্ততার কারণে পার্বত্য জেলাতে বিজু পালন করা হয় না। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে অন্তরে ধারন করি বলেই নিজেদের মধ্য আনন্দটা ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টায় রাজশাহীতে ক্ষুদ্র পরিসরে এ আয়োজন করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জয়ী চাকমা বলেন, এবারই প্রথম বাড়ির বাইরে বিজু করতে হচ্ছে। বাড়িতে যেতে পারছি না ভেবে বেশ খারাপ লাগছিল। তবে এখানে ছোট পরিসরে হলেও যে আয়োজন করা হয়েছে, তাতে মন ভালো হয়ে গেছে।

দীপন চাকমা নামের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী দীপন চাকমা বলেন, এখানে বিজু উদযাপন করছি, ভালো লাগছে। তবে মনে পড়ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিস্থিতি ভালো নেই। পাহাড়ের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। এখন আর আগের মতো সেখানেও বিজু হয় না।

তবে আশা করি- দ্রুত পার্বত্য শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেবে সরকার বলে মনে করেন তিনি।


শর্টলিংকঃ