পদ্মা সেতুর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী :

পদ্মা সেতুতে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ষষ্ঠ স্প্যান বসানো হয়েছে। এই প্রান্তে ৩৬ ও ৩৭ নম্বর খুঁটির ওপর বসানোর হয়েছে স্প্যানটি। তবে জাজিরা প্রান্তের ৬ষ্ঠ স্প্যান হলেও উভয়প্রান্ত মিলিয়ে এটি ৭ম স্প্যান।

বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ পাঁজা করে আটকিয়ে খুঁটির ওপর স্প্যানটি বসিয়ে দেয়। এরপর থেকে খুঁটির ওপর চলছে অস্থায়ী ভাবে বেয়ারিংয়ে ওয়েল্ডিং করে আটকানোর কর্মযজ্ঞ।

এই স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোয় দৃশ্যমান হয়ে উঠল এক হাজার ৫০ মিটার। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ৯০০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য।

আজ সকাল ৮টা থেকে পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সেতুর ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর বসে নতুন স্প্যানটি। এ সময় (মূল সেতুর) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ কনস্টাকশন ইয়ার্ডের স্টক ইয়ার্ড থেকে ৩৬শ’ টন ওজন ক্ষমতার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ জাহাজে চড়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তের খুঁটির কাছে নোঙর করে।

ক্রমে দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতু।

দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, এ স্প্যানটি বসানোর পর জাজিরা প্রান্তে সেতুর মূল অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৯০০ মিটার, আর মাওয়া প্রান্ত মিলিয়ে দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০ মিটারে। বুধবার সপ্তম স্প্যান স্থাপন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ৩৩ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত স্প্যান বসানোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।

প্রকল্পের দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যান, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটির ওপর দ্বিতীয় স্প্যান এবং গত ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর তৃতীয় স্প্যান এবং গত ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান স্থাপনে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২০১৮ সালের ২৯ জুন ৫ম স্প্যান ও ১৩ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তের বসানো হয় ৬ষ্ঠ স্প্যান। এরপরই ৯০০ মিটার দৈর্ঘে সেতুর মূল অবকাঠামো মাথা উঁচু করে দাড়াঁয় পদ্মার বুকে।


শর্টলিংকঃ