পুঠিয়ায় করোনার প্রভাবে অসহায় ৫ হাজার শ্রমিক পরিবার


আবু হাসাদ,পুঠিয়া:

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কাজ বন্ধ থাকায় রাজশাহীর পুঠিয়ায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছেন। সরকারী বা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রচারনা করা হয়েছিল ঘরে অবস্থান করলে খাদ্য পৌঁছে দেয়া হবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার সহযোগিতা পায়নি বলে শ্রমিকরা অভিযোগ তুলেছেন। যার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিক পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

জানা গেছে, উপজেলার শ্রমিক সংগঠন গুলোর মধ্যে তালিকাভূক্ত মোটর শ্রমিক রয়েছেন ১ হাজার ৬শ’জন। ইমারত নির্মাণ শ্রমিক রয়েছেন ১ হাজার ২শ’জন। রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক তালিকা ভূক্ত ১ হাজার ২শ’ থাকলেও তালিকার বাহিরে আছেন আরো প্রায় ৮শ’ জন। ১৪টি ইটভাটায় কাজে রয়েছেন আরো প্রায় ৯শ’ জন শ্রমিক।

এদের মধ্যে চলতি সপ্তাহে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র মোটর শ্রমিকদের ৭শ’জন পরিবারকে ১০ কেজি করে চাউল দেয়া হয়েছে। বাকি শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি। পাশাপাশি ওই শ্রমিক সংগঠন গুলো থেকেও কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পায়নি অসহায় শ্রমিক পরিবারগুলো। রাজশাহী জেলা সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান পটল বলেন, বিভিন্ন যানবাহন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা কেউ প্রভাবশালী নয়। তারা প্রতিদিন যা আয় করেন তা দিয়ে পরিবার নিয়ে কোনো মতে দিন যাপন করেন।

করোনার প্রভাবের কারণে বেশ কিছুদিন থেকে ওই শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এতে করে শ্রমিক পরিবার গুলো অসহায় হয়ে পড়েছেন। গত দু’দিন আগে উপজেলা প্রশাসন ৭শ’ শ্রমিককে ১০ কেজি করে চাউল দিয়েছেন। পরবর্তীতে আরো সহয়তা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন ও রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, কর্মহীন শ্রমিক পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই আমরা অনুদান পাইনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারগুলোতে সার্বক্ষনিক সাহায্যে-সহযোগিতা অব্যহত রয়েছে। তবে কেউ যদি ত্রাণ না পেয়ে থাকেন তারা আমাদের অবহিত করলে আমরা সার্বিক সহযেগিতা করবো। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন ও দরিদ্র পরিবারগুলোতে আমরা সহযোগিতা করছি। বর্তমানে পর্যাপ্ত ত্রাণ না থাকায় কিছু অসহায় লোকজন এখনো বাকি রয়েছেন। তবে দু’একদিনের মধ্যে ত্রান সহযোগিতার সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


শর্টলিংকঃ