করোনা মহামারীতে পুকুর খনন : লাখ টাকা দণ্ড


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

সারা দেশে যখন করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন ঠিক তখন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবৈধ পুকুর খননের মহাউৎসবে মেতেছে সুযোগ সন্ধানীরা। তবে ফাঁকি দিতে পারেনি প্রশাসনের চোখ। গুনতে হয়েছে লাখ টাকার জরিমানা।

জমির শ্রেণী বা প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’—এমন উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও গোদাগাড়ীতে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এক শ্রেণির পুকুর ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন।কৃষি জমিতে মেশিন দিয়ে ৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে।

ঠিক তখনই রাজাবাড়ীহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান এবং প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য নিয়ে হাজির নির্বাহী মাজিস্ট্রেট । গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হকের নেতৃত্বে কৃষি জমিতে পুকুর কাটা বন্ধে মাটিকাটা ইউনিয়নের ফরাদপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে একটি এস্কেভেটর মেশিন জব্দ ও বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দুজনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

অর্থ দন্ড প্রাপ্তরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চাটাইডুবি গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে আজিজুর রহমান(৩০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ এলাকার বাইলার দিয়াড় গ্রামের মৃত কেতাবের ছেলে ফারুক(২৫)।

এ বিষয়ে নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক বলেন,সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন যখন ব্যাস্ত ঠিক তখনই সুযোগ নিয়ে অবৈধ ভাবে পুকুর করছে কিছু সুযোগ সন্ধানী মহল। তবে অবৈধ ভাবে পুকুর খননকারী যত শক্তিশালী হোক তা প্রতিহত করা হবে। অনেক আগেই উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। ইতোপূর্বে অনেক অবৈধ পুকুর বন্ধ করা হয়েছে। নতুন কোনো পুকুর খননের অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ