আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া:
তরমুজ কিনে দেয়া প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হোসেন নামে সাত বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতরাতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পুঠিয়ার সেনভাগ এলাকায় নেইল কাটার দিয়ে জবাই করা হয়। এঘটনায় জড়িত অভিযোগে রিফাতের সৎ বাবা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তার বাড়ি নাটোরের একডালা এলাকায়।
নিহত শিশুটির নাম রিফাত হোসেন (৭)। তার সৎ বাবার নাম মোহাম্মদ আলী।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ ইউনিভার্জাসাল২৪নিউজ-কে জানান, মোহাম্মদ আলী সাত বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি হিন্দু ছিলেন। গত সাত মাস আগে তিনি বুলবুলি নামের এক নারীকে বিয়ে করেন।
বুলবুলি খাতুনের প্রথম স্বামীর সন্তান হচ্ছে রিফাত। প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে নব মুসলিম মোহাম্মদ আলীকে বিয়ে করেছিলেন বুলবুলি।
ঘাতক মোহাম্মদ আলী পুলিশকে জানিয়েছে, তার স্ত্রী বুলবুলি নতুন করে সন্তান নিতে না চাওয়ায় সৎ সন্তান রিফাতকে সে হত্যা করে। হত্যার আগে রিফাতকে তরমুজ কিনে দেওয়ার নাম করে নাটোরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরানো হয়।
পরে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার সেনভাগ এলাকায় রিফাতকে এনে চাকু দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। এরপর বাসায় চলে যান মোহাম্মদ আলী। তবে বাসায় গিয়ে পরিবারের লোকজন রিফাতের কথা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
এমনকি রিফাতকে তিনি দেখেননি বলে দাবি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত রিফাত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে দাবি করে। সেই সূত্র ধরে নাটোর থানা পুলিশ পুুুুঠিয়া থানায় খবর দেয়।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিফাতের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ঘাতক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে আদালতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
