নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
ঢাকার বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ফ্লোরিডা খানম পলির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঢাকা থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে বেলা ১টার দিকে পৌঁছালে চারদিকে কান্নার রোল পড়ে যায়। নেমে আসে নিঃস্তব্ধতা। বেলা সাড়ে ৩টায় নিহতের জানাজা জগন্নাথপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তার পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
নিহত ফ্লোরিডা খানম পলি শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ইউসুফ উসমান মনুর স্ত্রী এবং পৌর এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের তৃতীয় কন্যাসন্তান। নিহত পলির স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ও তিনি স্ক্যানওয়েল লজিস্টিক লিমিটেডের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক সন্তান ফয়সাল ও স্বামী নিয়ে ঢাকার মিরপুরে বিয়ের পর থেকেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহতের বড় বোনের মেয়ে ডাঃ ফাহিমা শামিম খুসবু জানান, তিনি তার খালার অফিস ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত যোগাযোগ রাখতে পারেন। সর্বশেষ তিনি তার কর্মস্থল ১১ তলা থেকে ১২ তলায় যেতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তিনি একটি টেক্স ম্যাসেজ তার খালার সেল নম্বরে দিয়ে রাখেন।
পরবর্তীতে তার খালার মৃতদেহ সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার ডাক্তার সে ম্যাসেজ দেখে তার সাথে যোগাযোগ করে লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যেতে বলেন। তার খালু লাশ শনাক্ত করে গ্রামের বাড়িতে রওনা হন।
এদিকে নিহতের লাশ বেলা ১টার দিকে শিবগঞ্জে মায়ের বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় পুরো এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের পাশাপাশি নিহতের স্বামী ক্ষোভের সাথে জানান, আমরা ঢাকাকে আর লাশের নগরী হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে একটি বসবাস উপযোগী ঢাকা।