‘বাবার চোখ ৫৩ দিন বাঁধা ছিল, দেখতেও পাচ্ছেন না’


ইউএনভি ডেস্ক:

ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সুচিকিৎসার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। কারা কর্তৃপক্ষ সে আদেশ পালন করছে না। এই অভিযোগ করেছে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের পরিবার। আজ রোববারও বাবার মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছেন শফিকুলের ছেলে মনোরম পলক।

মানববন্ধনে মনোরম পলকের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরাও ।মনোরম পলক  বলেন, ‘বাবার বাম হাতটা অচল হয়ে গেছে। চোখ বাঁধা ছিল ৫৩ দিন। তিনি চোখেও দেখতে পাচ্ছেন না।’ তিনি আরও জানান, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল। আদালত সুচিকিৎসার আদেশ দিলেও কারা কর্তৃপক্ষ শোনেনি।

গত ১০ মার্চ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন। যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ২ মে দিবাগত রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পাসপোর্ট আইনে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও, পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়। শফিকুলের বিরুদ্ধে সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখরসহ যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী মামলা করেন।

২ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত শফিকুলকে যশোর কারাগারে আটক রাখা হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকায় আনা হয়। ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতে শফিকুল ইসলাম কাজলের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে সুচিকিৎসার আবেদন করেন। গত ১০ আগস্ট সেই আবেদন মঞ্জুর হয় বলে জানান জ্যোতির্ময়।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে তিনি বলেন, তিনি একটি বৈঠকে আছেন। পরে বলেন, সংবাদমাধ্যমে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা এ নিয়ে কথা বলতে হবে। এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

মনোরম জানান, তাঁরা বাবার সঙ্গে কথা বলার খুব একটা সুযোগ পাচ্ছেন না। দু-একবার অল্প সময়ের জন্য কথা বলতে পেরেছেন। শফিকুলের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন এমন এক ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁদের জানান, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। এরপরই তারা আদালতে গিয়েছিলেন।


শর্টলিংকঃ